ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন-বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ভারতীয় সংবাদকর্মীদের নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এক ই-মেইলে সংস্থাটির পরিচালক এ নির্দেশ দেন। খবর বিবিসির।
দিল্লি ও মুম্বাইতে বিবিসির দপ্তরে আয়কর বিভাগের তল্লাশির পরে বৃহস্পতিবার রাতে ই-মেইলটি পাঠান তিনি। বিবিসি জানিয়েছে, তারা ওই তদন্তে আয়কর বিভাগকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
ভারতে বিবিসির কর্মীরা যে সাহস দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে টিম ডেভি বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেছেন, সংবাদকর্মীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে আর নিরাপদে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে বিবিসি। ভয়-ভীতি ছাড়া, নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশনের চেয়ে আমাদের কাছে আর কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশ্বব্যাপী আমাদের দর্শকের কাছে স্বাধীন আর নিরপেক্ষভাবে সত্যটা পৌঁছে দেওয়াই বিবিসির কাজ। আমাদের লক্ষ্য কীভাবে সবচেয়ে সৃজনশীল উপায়ে আমরা তা দর্শককে উপহার দিতে পারি। এ কর্তব্য থেকে আমরা কখনোই বিরত থাকব না।
তিনি লিখেছেন, একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। বিবিসির কোনো এজেন্ডা নেই। আমরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করি। প্রথম উদ্দেশ্য হলো- নিরপেক্ষ সংবাদ এবং তথ্য পরিবেশন; যাতে মানুষ তার চারপাশের দুনিয়াটাকে ভালো করে বিশ্নেষণ করতে পারে।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতীতে মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ প্রদর্শন করতে দেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় তথ্যচিত্রটি শান্তিনিকেতনের রতন পল্লিতে প্রদর্শনের উদ্যোগ নেয় বিশ্বভারতীর ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু তা প্রদর্শনে বাধা দেয় পুলিশ। এ কাজে সহযোগিতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরাও। এ ঘটনার পর বিশ্বভারতী চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ভারত সরকার এটিকে ‘শত্রুতাপূর্ণ অপপ্রচার’ বলে আখ্যায়িত করে।