ভোলার লালমোহনে রওশন আরা বেগম নামের এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহর লাল দাস। জানা যায়, একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর কালাচাঁদ গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেনের স্ত্রী রওশন আরা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছিলন। ওই ভাতার টাকা নগদ অ্যাকাউন্টে পেতেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই ভাতার টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায় রওশন আরার। এরপর তিনি বিষয়টি জানতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে রওশন আরাকে জানানো হয়; ২০২২ সালের ২রা মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে ৭৮ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। যা ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যুর নিবন্ধনকরণ রেজিস্ট্রারে ২০২২ সালের ২৮নং ক্রমিকে নিবন্ধিত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেয়ায় ভাতাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
অভিযোগ করে রওশন আরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাতার টাকা পাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে কয়েক মাস ধরে ওই টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে শুনতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহর লাল দাস একটি মৃত্যু সনদ দিয়েছেন। আমার বদলে অন্য একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন। এজন্য আমি ভাতা পাচ্ছি না। জীবিত থাকার পরেও সমাজসেবা অফিসে গিয়ে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি বিস্মিত হই। আমাকে মৃত বানানোর এই কারসাজি করায় জহর লালের বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহর লাল দাস জানান, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। জানার পরে ওই সনদটি বাতিল করা হয়েছে। সামনের দিকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবো। এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, আমরা বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ওই বৃদ্ধার ভাতা পুনরায় চালু করে দিয়েছি। শিগগিরই তিনি তার ভাতার টাকা পাবেন।