পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাটিভাংগা কলেজ মোড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়রি) রাতে সাত বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নাজিরপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের সৎ মাকে আটক করে পুলিশ।
মৃত আরিফা উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের আবুবক্করের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ক্লাস ওয়ানের ছাত্রী।
আটক আয়েশা (২২) মৃতের সৎ মা আয়েশা আবুবক্করের চতুর্থ স্ত্রী।
এবিষয়ে মৃত আরিফার দাদী মাহিনুর বেগম জানান, দুই বছর আগে আরিফার মায়ের (কুলসুম বেগম) সঙ্গে আমার ছেলে আবুবক্করের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, এরপর থেকেই আরিফা আমার কাছে থেকে পড়াশুনা করছে। বৃহস্পতিবার তার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে আরিফাকে তার বাড়িতে পাঠাতে বললে আমি ওকে পাঠিয়ে দেই। বিকেল রিফার বাবা বাড়িতে গিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে আমার কাছে আসে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় খালের পাড়ে আরিফার লাশ পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে মাটিভাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এবিষয়ে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লিপু শরীফ বলেন, আরিফার লাশ উদ্ধারের সময় তার সৎ মা নিজেই হত্যার বিষয় স্বীকার করে বলেন-আমি তাকে কম্বলচাপা দিয়ে মেরে ফেলেছি।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি এবং মৃতের সৎ মা আয়েশাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা প্রস্তুতি চলছে।