নলছিটিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘের, পানের বরজ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশ: ২৭ মে, ২০২১, ৪:২৩ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নলছিটি প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে নলছিটির মাছের ঘের,রাস্তা-ঘাট,পানের বরজ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৫ থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বেশকিছু গ্রাম। গত ২৫ মে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোয়ারে পানিতে পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। গতকাল ২৬ মে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নলছিটির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে বেশ কিছু ইট ও মাটির রাস্তা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও মাছের ঘের,পানের বরজসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘের মালিক নূর আলম, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বেশ কজন জানান অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মাছের ঘের সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে এতে আমার প্রচুর টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
পানের বরজের মালিকদের কাছ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এমনিতেই পানের ফলন ভালো হয়নি। আবার বন্যার পানিতে বরজ তলিয়ে গিয়ে বরজের ব্যাপক ক্ষতি হলো। এই লোকসান কীভাবে পূরণ করবো তা আমরা ভেবে পাচ্ছি না। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক জন প্রতিনিধি।
উপজেলার দশটি ইউনিয়নের খোজ নিয়ে জানা গেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারনে জানমালের ক্ষতি না হলেও পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পানের বরজ ও ফসলি জমি।
নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান জানান ইয়াসে পৌরসভায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সরেজমিনে দেখতে গতকাল পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছি। আমার পৌরসভার রাস্তা ঘাট,মাছের ঘের,পানের বরজ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিকেল টিম এবং পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী মজুদ রেখেছিলাম। পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলায় ১৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মওজুদ রয়েছে। কৃষি,মৎস্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহল থেকে খবর নিয়েছি। ইয়াসে নলছিটি উপজেলায় দুই কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।