মামুনুর রশীদ নোমানী : দৈনিক দেশবাংলা ৭১ সালে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছিল সক্রিয় ভাবে। ৭১ এর ইতিহাসের একটি অংশ দৈনিক দেশবাংলা। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ড.ফেরদাউস আহমেদ কোরেশী। একজন আপাদমস্তক ভালো মানুষ ছিলেন। দেশের সকলেই তাকে চিনেন। কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন নি। দেশবাংলায় কাজ করার সুবাদে তাকে কাছ থেকে দেখেছি। তার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র যেদিন পেয়েছিলাম তখন অনেক আনন্দ আর খুশিতে ভরপুর। আমাকে এক নামে চিনতো। কারন নামটাই ছিল ভিন্ন ধরনের। কারো সাথে মিলেনা। তার পরে বরিশালের দ্বায়িত্বে ছিলাম। তার মৃত্যুর পরে দেশবাংলার আলো অনেকটাই নিভে গেছিলো।
দেশবরেণ্য সাংবাদিক যাকে সবাই রিমন ভাই নামে চিনেন। সাইদুর রহমান রিমন। যেমন সাহসী তেমনি কঠিনকে জয় করার একজন যোদ্ধা। রিমন ভাই হাল ধরলেন। পুজিঁবাদ আর কর্পোরেট গনমাধ্যমের যেখানে টিকে থাকা মুশকিল। সেই সময়ে দেশের একঝাঁক পেশাদার নিপিড়িত -নির্যাতিত সাংবাদিকদের নিয়ে টিম গঠন করে দেশবাংলার আলো ছড়িয়ে দিলেন। ইউনিক আইডিয়া আর সৎ সাহস তার পুজিঁ। তার সাহসিকতা প্রশংসাযোগ্য। কারন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইংরেজী পত্রিকাসহ অনেক দৈনিক পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। অপেক্ষায় আছে বন্ধ হওয়ার তালিকায় আরো বেশ কিছু পত্রিকা। সেই দুঃসময়ে তিনি দেশবাংলাকে প্রিন্ট আকারে বাজারে পৌছে দিয়েছেন আবার অনলাইন সংস্করণ কে একটি রোল মডেলে পৌছে দিয়েছেন। আশা করি আগামি এক দু’মাসের মধ্য ইনশাআল্লাহ দেশবাংলা হবে পাঠকপ্রিয় পত্রিকা। পাঠকদের আস্থা অর্জনে দেশবাংলা পরিবার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। হেড অফ নিউজ দেশবাংলা সজিব আকবর ২৪ ঘন্টাই সজিব থেকে সারা দেশ থেকে পাঠানো সংবাদকে সংবাদযোগ্য করছেন। তেমনি কান্ট্রি এডিটর তৌহিদ ভাই পাঠকপ্রিয় করতে সংবাদসহ পত্রিকার পাতাগুলো এমনভাবে ছাদবাগানের মত করে সাজিয়েছেন। পত্রিকাটি যার হাতে আসবে তিনি অত্যান্ত খুশি হবেন। বিজ্ঞাপন নির্ভরতা এড়িয়ে সংবাদকে গুরুত্ব দেয়ার আদেশকে সকল সংবাদকর্মী নিজের পত্রিকা মনে করে দেশবাংলাকে স্থান দিয়েছেন মনের মনি কোঠায়। তারা পরিশ্রম করছেন দেশবাংলার জন্য। পত্রিকাটির উন্নতির জন্য সার্বক্ষনিক দেশবাংলার সিইও সেহলি পারভিন কাজ করে যাচ্ছেন। অনলাইনকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য রিয়াজকে জানাই ধন্যবাদ। দেশবাংলা একটি পরিবার। টিম প্রধান,ব্যুরো প্রধান, আঞ্চলিক প্রধান,আবাসিক সম্পাদকগন ও সকল সংবাদদাতারা ২৪ ঘন্টাই কাজ করছেন। আন্তরিকতা আর ভালোবাসার সুফল
ভোগ করবে সকল পাঠক এমন প্রত্যাশায় আমরা। এ প্রত্যাশা সকলেরই। দেশবাংলা পাঠকদের কথা তুলে ধরার জন্য পাবলিক ভয়েস নামে আলাদা বিভাগ স্থাপন করেছেন। পাঠকের মনের কথা প্রকাশ হবে পাঠকদেরই পত্রিকা দেশবাংলায়। সকলের সহযোগীতায় দেশবাংলা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত আলো ছড়াবে। ছড়াবে অনলাইন সংস্করনের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে। ৭১ সালে যেমন ভুমিকা রেখেছিল দেশবাংলা তেমনি হাল আমলে মাফিয়াদের মুখোশ উম্মোচনে আবারো সাইদুর রহমান রিমনের সম্পাদনায় দেশবাংলা ভূমিকা রাখবে। সারা দেশে দেশবাংলা প্রকাশের পর হৈচৈ পড়েছে। দেশবাংলা কারো রক্ষচক্ষুকে ভয় করেনা। দেশবাংলার সাথে জড়িত সকলেই পরীক্ষিত পেশাদার সাংবাদিক। দেশবাংলার সফলতা কমানা করছি।