দুস্থদের দেয়া টাকার নামের তালিকায় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী!
প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২০, ৮:৫১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুস্থদের দেওয়া সরকারি টাকার নামের তালিকায় এবার এক স্কুলশিক্ষকের স্ত্রীর নাম অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। আর ওই নামের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন উপজেলার ৩ নম্বর মিরুখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রুবি আলম। জানা যায়, দুস্থদের নামের তালিকায় থাকা শাহিনুর আক্তার ওই ইউপি সদস্যের দেবর এবং ওই ইউনিয়নের রাশেদিয়া বাঁশবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হামিদ মিয়ার স্ত্রী। ওই স্কুলশিক্ষক বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউপি সদস্য রুবি আলম উপজেলার ৩ নম্বর মিরুখালী ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য ও শৌলা গ্রামের আলম মাস্টারের স্ত্রী। আলম মাস্টার বর্তমানে মঠবাড়িয়া সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছেন। প্রসঙ্গত, ওই ইউপি সদস্যের স্বামী আলম হোসেন ব্যাংকে চাকরির আগে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করায় তিনি আলম মাস্টার নামে পরিচিত। স্থানীয়রা জনান, রুবি আলম বিভিন্ন সময় ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকাপি নিলেও ত্রাণ বা সরকারি সুবিধা তার আত্মীয় স্বজনদের পাইয়ে দিচ্ছেন। এমনকি চলতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্মহীন অসহায় দুস্থদের সরকারি ত্রাণ বিররণ কার্যক্রমে তার আত্মীয় স্বজনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। নারী ইউপি সদস্য রুবি আলম তার আত্মীয় স্কুলশিক্ষক হামিদ মিয়ার স্ত্রী শাহিনুর আক্তারের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিক্ষকের ব্যাংকে ও বিভিন্ন এনজিওতে লোন থাকায় তিনি আর্থিকভাবে চরম অনটনে রয়েছেন। এছাড়া তার দুই কন্যা বাড়ির বাইরে থেকে স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। তাই তার পরিবারে অনেক খরচ।
তাছাড়া ওই স্কুলশিক্ষক শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ থাকায় মানবিক বিষয় বিবেচনা করে তার স্ত্রীকে সরকারি অনুদানের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. ছোবাহান শরীফ জানান, রুবি আলমের নামে এমন আরও একাধিক স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি টাকা ছাড়া করো নাম অন্তর্ভুক্ত করেন না। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মঠবাড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, নামের তালিকায় এমন কোনো স্বজন প্রীতি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তারপরেও কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে দেশের কয়েকটা ইউনিয়নে সরকারি টাকার নামের তালিকায় খোদ ইউপি সদস্যদের নাম উল্লেখ করতে গেছে।