দশমিনায় চিকিৎসার নামে কিশোরীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা!
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১:২৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনায় মোসা. নুরজাহান বেগম নামে এক নারী ফকিরের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দশমিনা থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। নিহত কিশোরীর নাম হাফসা বেগম (২০)। তিনি উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মো. শাজাহান মৃধার মেয়ে। হাফসা আলীপুরা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, ২১ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোসা. লুৎফুরন্নেছা বেগম তার মেয়ে হাফসা বেগমকে নিয়ে ছেলের শ্বশুরবাড়ি দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে বেড়াতে যান। সেখানে গেলে মো. মনির সরদারের স্ত্রী মোসা. নুরজাহান বেগমসহ বাকিরা হাফসার মা লুৎফুরন্নেছা বেগমকে ওই রাতেই কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
একই দিন রাতে প্রধান অভিযুক্ত মোসা. নুরজাহান বেগমসহ অন্যরা হাফসাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কবিরাজি চিকিৎসার নামে বাড়ির পাশের কৃষিজমিতে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে আহত হাফসাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ২২ জানুয়ারি বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন। শেবাচিমের চিকিৎসকরা হাফসার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জানুয়ারি রাতে হাফসা মারা যান।
এ ঘটনায় হাফসার মা মোসা. লুৎফুরন্নেছা বেগম বাদী হয়ে মোসা. নুরজাহান বেগমকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৩ জনের নামে দশমিনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয় মোসা. নুরজাহান বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার স্বামী মো. মনির সরদার বলেন, এ ঘটনার পর তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। আমি দশমিনা সদরে ছিলাম তাই কিছু জানি না। আগুন লাগার পর দশমিনা হাসপাতালে গিয়ে হাফসাকে ওষুধও কিনে দিয়েছিলাম।
দশমিনা থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে।