তালিকা সংশোধনের পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে বিতর্কিত হওয়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা
প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২০, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্কঃ
দেশজুড়ে অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষদের অর্থ সহায়তা দিতে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। ৫০ লাখ মানুষের এই তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল।
রোববার রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এই তালিকার অসংগতি দূর করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদফায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ সপ্তাহেই মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিয়ে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হবে।প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই ঈদ উপহার উদ্বোধনের পর টাকা পাঠাতে গিয়ে এই ত্রুটি সামনে আসে। দেখা গেছে কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর, চেয়ারম্যানদের মোবাইল নম্বর একাধিক ব্যক্তির নামের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ২০০ জনে সুবিধাভোগীর নামের পাশে দেখা গেছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ্ কামাল বলেন, ‘এ ঘটনা সত্য যে একাধিক সুবিধাভোগীর নামের সঙ্গে এক নম্বর যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। যে সমস্যাটা হয়েছে, তা হলো ৫০ লাখ তালিকা যখন তৈরি করা হয়েছে সেখানে সুবিধাভোগীরা তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরে যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলো সে মোবাইল নম্বর এই অর্থ সুবিধা পেতে দেয়নি। ফলে সফটওয়্যার যখন চেক করতে শুরু করেছে তখন তাদের এই ত্রুটি ধরা পরেছে। সেখানে যে নম্বর তারা দিয়েছে তা হয়তো কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা পরিচিতজন। এখানে দুর্নীতি কিংবা অর্থ আত্মসাতের মতো কোনো উদ্দেশ্য এখানে নেই।’তিনি আরো জানান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ ওই তালিকা যাচাই বাছাই করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তালিকা সংশোধন করা হবে। এখন সুবিধাভোগীদের নিজের ফোন নম্বর দিতে হবে, আর যারা দিতে পারবেন না তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা পাঠানো হবে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে তালিকা সংশোধনের জন্য যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় রিক্সাচালক, ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, গণপরিবহন শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক কুলি, ঘাট শ্রমিক, নরসুন্দর, ফেরিওয়ালা দিনমজুর এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়সহ মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য পরিবার ও যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করে এমন জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেশের অসহায় মানুষদের জন্য পাঠানো অর্থ নিয়ে কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তার বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।