বরগুনার তালতলীতে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ (বুধবার) দুপুর ১২ টায় করুন ব্রত ব্যাপারী নামের এক ব্যাক্তি বেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেহেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবসৃষ্ট কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী পদে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী২০২২ইং দৈনিক খবরপত্র ও স্থানীয় দৈনিক সাগরকূল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন প্রার্থীদেরকে আবেদন ফরম কিনে আবেদন করতে বলা হয়। সককের মত যথা সময় আবেদন প্রার্থী হিসেবে করুন ব্রত ব্যাপারীও আবেদন করে। কিন্তু নিয়োগ পরিক্ষার আগেই ওই সমস্ত পদে টাকার বিনিময়ে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। পরিক্ষার পূর্বে করুন ব্রতের কাছে ৭ লাখ টাকা দাবী করলে তিনি টাকা না দিয়ে নিয়োগ পরিক্ষার ১দিন পূর্বে আমতলী সহকারী জজ আদালতে (বরগুনা) যে ৪ জনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে প্রশ্ন করে, নিয়োগ পরিক্ষার আগে সে কিভাবে জানলো সুজন, লিটন, নিবেদিতা ও সজিব চন্দ্র মিস্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হবে? যদি এই ৪ জনকেই নিয়োগ দেয়া হয় তবে নিয়োগ পরিক্ষার পরে আদালতের সরনালাপন্ন হতে বলা হয়।
অন্যদিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুজন ও লিটনের বয়স বে-সরকারী নিতিমালার থেকে অনেক বেশি বলেও সাংবাদিকদেরকে জানানো হয়। নানা জালিয়াতির মধ্য দিয়ে সুজন ও লিটনের নিয়োগ দিয়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিরুপম ভট্ট ও সভাপতি কেশব চন্দ্র হাওলাদার। লিটনের জম্ম সনদানুযায়ী ২৫ বছর ১ মাস ১২ দিন ও সুজন দেবনাথের বয়স ৩৮ বছর গড়ালেও টাকার বিনিময়ে ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয় বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার। তালতলী ডাক বাংলা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।