ভারতের তামিলনাড়ুর প্রেমাকান্ত নামের এক যুবক প্রেমের টানে বরগুনায় আসার পর তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রেমিকার পরিবার।
শুক্রবার তরুণীর পরিবার ওই যুবকের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই প্রেমাকান্ত তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বরিশাল নগরীতে আসেন। পুরো এক সপ্তাহ চষে বেড়ান বরিশাল নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি বরিশাল থেকে সড়ক পথে বরগুনা আসেন। শুক্রবার বিকালে তিনি তালতলী উপজেলায় প্রেমিকাকে খুঁজতে আসেন। কিন্তু তার দেখা পাননি। পরে বিকালে আবার বরগুনা ফেরেন প্রেমাকান্ত।
ভারতীয় যুবকের দাবি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বরগুনার এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেম হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে টানা তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।
তিনি আরও দাবি করেন, একনজর দেখার জন্য তামিলনাড়ু থেকে প্রথমে বরিশাল শহরে ও পরে বরগুনায় আসেন। বরিশালে আসার পর দেখাও মেলে ওই তরুণীর সঙ্গে। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমাকান্ত জানতে পারেন তার অজান্তেই তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চয়ন হালদারের সঙ্গে তার প্রেমিকার প্রেমের সম্পর্কের কথা। এরপর ওই তরুণী তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
চয়নের হাতে মারধরেরও শিকার হয়েছেন প্রেমাকান্ত। তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয়।
এ বিষয়ে তরুণীর মা বলেন, আমার পরিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তালতলী থানায় ভারতীয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
তরুণীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। কিন্তু তাকে কিছু না বলেই সে বরিশালে চলে আসে। তার অনুরোধের পর আমার মেয়ে তার সঙ্গে দেখাও করে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে যেভাবে আমাদের পেছনে লেগেছে- তা আমাদের হেয়-প্রতিপন্ন করার নামান্তর। ছেলেটিও আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করায় প্রচলিত আইনে আমরা তার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ব্যাপারে তরুণীর বাবা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভারতীয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।