তরুণীকে ধর্ষণ : বাঁচতে কীর্তনখোলায় ঝাঁপ পুলিশ সদস্যর
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার,
বিয়ের প্রলোভনে বাড়িওয়ালার ১৯ বছর বয়সের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অন্তঃস্বত্তা করার অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি মডেল
থানা পুলিশ।গ্রেফতার এড়াতে কাওছার আহম্মেদ নামের ওই পুলিশ কনস্টেবল কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, মামলার বাদী ও ভিকটিম তরুনীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেফতার কাওছার আহম্মেদ জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি বরগুনা জেলা সদরের আমড়াঝুড়ি এলাকার আলম শিকদারের ছেলে। চাকরির সুবাদে কাওছার নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বুকভিলা গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি মাস থেকে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বুকভিলা গলির ভিকটিমের বাবার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট বাসায় ওঠেন। সে সুবাদে বাড়ির মালিকের ১৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে কাওছারের সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন
সময়ে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পরলে তার মা ও খালাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন প্রায় ২০ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা ওই তরুণী।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সদস্য কাওছার লুকোচুরি শুরু করেন। অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কাওছারকে খুঁজে পান ওই তরুণী। এরপর ৯৯৯ এর মাধ্যমে তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাওছারকে আটকের চেষ্টা করলে সে (কাওছার) দৌঁড়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে একটি ট্রলারে করে মাঝনদী থেকে কাওছারকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।