স্টাফ রিপোর্টার ।। ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে এলোপাতারি মারপিট করেছে মাছ ধরারত জেলেদের। লুট করেছে ১৫টি ট্রলারের মাছ-মোবাইল-নগদ টাকাসহ মালামাল। মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ১৫ ট্রলারে মাঝী ও মালিককে। রাতের অরক্ষিত মেঘনায় কোস্টগার্ড-নৌ-পুলিশের টহলের দাবী করছেন উপকূলের মৎস্যজীবী জেলে আড়তদাররা। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর ) দিবাগত রাতে উপজেলার চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মল এলাকার মেঘনা নদীতে এই ডাকাডির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি ও জেলে পরিবার সুত্র জানায়, রাতের অরক্ষিত মেঘনায় জলদস্যু বাহিনী ঘুমন্ত জেলেদের মাছ ধরারত ১৫ টি ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ-জাল মোবাইল নগদ টাকা সহ মালামাল লুট করে। এসময় মহিষখালী ও শশীগঞ্জ মাছ ঘাটের সিরাজ মেম্বারের আরতের হান্নান মাঝি, মহিউদ্দিন পোদ্দারের আরতের লোকমান মাঝি, আমিন মহাজানের আরতের মিরাজ মাঝী, বাবুল মীরের আরতের হাশেম মাঝি, মনির তালুকদারের আরতের আরিফ মাঝি, মিজান দালালের আরতের আলাউদ্দিন ও হাসান মাঝি, নূরনবী দালালের আরতের সালাউদ্দিন মাঝী, আলাউদ্দিন দালালের আরতের ইউসুফ মাঝীসহ ১৫ জন মাঝি ও নৌকার মালিককে মুক্তিপনের দাবিতে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এসময় জলদস্যুদের এলোপাতারি মারপিটে
রফিক, মন্নান, আলম, মিরাজ,কালামসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়। পরে ফোন করে পরিবারে সদস্যদের কাছে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবী করে।
জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে নদীতে মাছ কম, অন্য তেলের দাম বেশী। এরপর মরার উপর খরার ঘাঁ, জলদস্যুতা। কিছুদিন পরপর ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। দুই একজন জলদস্যকে আটক করে হাজতে পাঠালেও তারা দ্রুত জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ডাকাতি করে। রাতের অরক্ষিত মেঘনায় কোস্টগার্ড-নৌ-পুলিশের টহলের দাবী করছেন উপকূলের মৎস্যজীবী জেলে আড়তদাররা।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কমান্ডার বলেন, অপহরণকারীদের মোবাইল নাম্বার পেলে ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চলবে। ব্যাপারটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
হাকিমুদ্দিন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, আড়ৎদার ও জেলেদের মাধ্যমে অপহরণের খবর শুনেছি। রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, চেষ্টা অব্যাহত আছে।