হাইড্রোলিক স্টিয়ারিং বিকল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানো লঞ্চটি ডুবোচরে উঠিয়ে থামানো হয় গতি। এতে লঞ্চের কয়েক শ যাত্রীর জীবন নিরাপদ করেন মাস্টার আলমগীর সরদার।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চ চাঁদপুর এলাকার মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত লঞ্চটি চর থেকে নামানো যায়নি বলে জানা গেছে।
সুন্দরবন-১১ লঞ্চের মাস্টার আলমগীর সরদার জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টায় তিনি যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ১১টার দিকে স্টিয়ারিংয়ের হাইড্রোলিক বিকল হয়ে যায়। তখন লঞ্চের গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
এতে লঞ্চটি অন্য নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষসহ যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। লঞ্চ ও যাত্রীদের নিরাপদ রাখার জন্য সুন্দরবন- ১১ লঞ্চটি ডুবোচরে উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে সুরভী-৭ নামক আরেকটি লঞ্চ এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশালে নিয়ে গেছে।
মাস্টার আলমগীর সরদার জানান, হাইড্রোলিক সচল করা গেলেও লঞ্চটি ডুবোচর থেকে নামানো যাচ্ছে না। বুধবার রাত ১১টার দিকে পূর্ণ জোয়ার হলে সুন্দরবন-৯ ও সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সাহায্যে টেনে ডুবোচর থেকে নামানো হবে।
বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, সুন্দরবন-১১ লঞ্চের যাত্রীরা বুধবার ভোর ৫টায় সুরভী-৭ লঞ্চে নিরাপদে বরিশালে পৌঁছেছেন।