শ্রমিক পিটিয়ে আহত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সোনারগাঁও টেক্সটাইলসে এ ঘটনা ঘটে।
সিরাজ নামে এক শ্রমিক জানান, দুপুরে টেক্সটাইল মিলে যাওয়ার সময় একজন শ্রমিক পূর্বে অনুপস্থিত থাকায় তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয় গেটের নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মিলের ভেতরে মালিকদের নিজস্ব লোকজন হামলা করে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখালে ও রাস্তা অবরোধ করলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
হামলায় আহত শ্রমিক খুকু মনি জানান, হাফিজ ও মনিরের নেতৃত্বে অন্তত দশজন ব্যক্তি তাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে ৬-৭ জন আহত হয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। পরে বাসদের সদস্য সচিব মণীষা চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের উপ-মহাব্যবস্থাপক খায়রুল ইসলাম জানান, সকালে একজন শ্রমিকের পূর্বের অনুপস্থিতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে আমি শুনেছি কে বা কারা তাদের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জনকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম জানান, শ্রমিকদের অনুপস্থিতি নিয়ে একটা ঝামেলা হয়, এর ফলে কিছু শ্রমিক বিক্ষোভ করে এবং ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।