রিকশাভ্যান চালিয়ে যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে সংসার চালাতেন মানিক ভূঁইয়া। কিন্ত বর্তমানে তার যেনো দুঃখের শেষ নেই। একটি দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়ায় এখন পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি।
করোনার প্রথম বছরে দেশজুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকা শহরে পরিবারকে নিয়ে চলতে না পেরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান মানিক ভূঁইয়া। কিন্ত গ্রামে গিয়েও দুঃখ কমেনি তার। দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে প্রায় আট মাস ধরে চিকিৎসার জন্য আসতে হচ্ছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই তার। ভ্যানে চড়লে ঝাঁকুনিতে শরীরে ব্যথা পান তিনি। আর তাই চলন্ত ভ্যান গাড়িতে মায়ের কোলে মাথা রেখে চিৎকার করে বিলাপ করছে মানিক ভূঁইয়া।
সঙ্গে থাকা মানিকের মা ও তার স্ত্রী বলেন, ‘তার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের। অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়ার মতো আমাদের কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেই। ভাড়া দিতে পারবো না বলেই ভ্যান গাড়িতে করে নিতে হচ্ছে।’
সংসারে তার মা, স্ত্রীসহ চৌদ্দ বছরের এক প্রতিবন্ধী ছেলে ও আঠার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।