ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতাসহ ৯ জনের নামে ডিজিটাল আইনে মামলা
প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:২১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা সুজনের সেক্রেটারি মঈন তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খসরু নোমান ও এশিয়ান টিভির দুই সাংবাদিকসহ ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম টিটু। আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক নালিশি মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝালকাঠি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও তার ছেলে মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে আসামিদের ঝালকাঠির ৫ নদীর মোহনায় ইকোপার্ক বাস্তবায়নের আন্দোলন নিয়ে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন। ইকোপার্ক এবং মেয়রপুত্র মনিরুল ইসলাম তালুকদারের কিছু বিষয় নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি এশিয়ান টেলিভিশনে ১৯ মিনিটের একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।
মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারে অভিযোগ- তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এশিয়ান টেলিভিশন ‘এশিয়ান সার্চ’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এমনকি আসামিরা প্রচারিত সংবাদের ভিডিও ক্লিপ ঝালকাঠি শহরের বারোচলা এলাকায় জনসম্মুখে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রচার করেছে, যা ঝালকাঠির সর্বস্তরের জনগণ দেখে এবং শোনে।
মামলার আসামিরা হলেন- এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার রবিউল ইসলাম ও শামীম হোসেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আল আমিন বাকলাই, ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন খান, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খসরু নোমান, যুবলীগকর্মী কাজী মারুফ হোসেন ইরান ও বাদল হোসেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ ঝালকাঠি থানায় যাওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মামলার অন্যতম আসামি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা সুজনের সেক্রেটারি ও ঝালকাঠি ইকোপার্ক, নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মঈন তালুকদার বলেন, আমার সঙ্গে বা আমাদের সংগঠনের কারো সঙ্গে পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের বিরোধ নেই। গত কয়েক মাস আগে মেয়র এবং তার ছেলে মনির তালুকদার ঝালকাঠি ইকোপার্কের ৯০ একর জমি আদালত থেকে কৌশলে ডিক্রি করিয়ে নেন। আমি ঝালকাঠির নাগরিক হিসেবে ওই একতরফা ডিক্রি বাতিলের জন্য মামলা করেছি এবং ইকোপার্ক বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সে কারণে আমাকে দমানোর জন্য আমিসহ ৯ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলা আমরা আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।