ঝালকাঠির নির্যাতিতদের আশ্রয়স্থল শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে এবার নয়া ষড়যন্ত্র
প্রকাশ: ২৩ মার্চ, ২০২১, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠী উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক মো. শামিম আহমেদকে নিয়ে এবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি কুচক্রিমহল। সাধারনদের ভালোবাসার মানুষ এবং নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষদের ভরষাস্থলে পরিনতন হন শামিম আহমেদ। ষড়যন্ত্রকারী ও অপপ্রচারকারীদের টার্গেট এখন তিনি। ঝালকাঠীর একটি অংশে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে একজন নামধারী সন্ত্রাসী। ঐ সন্ত্রাসীর হাতে প্রতিনিয়ত লোকজন নির্যাতিত হচ্ছে। ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের। এসব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের আপনজন শামিম আহমেদ। শামিম আহমেদ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি বাস করেন ঝালকাঠী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের লোকজন যাতে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে এ নিয়ে বৈঠক করেন শামিম আহমেদ। বৈঠকে অংশ নেয়া লোকজন নিয়ে তিনি রাত পৌনে ৯টার দিকে উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সাধনার মোড় পর্যন্ত গেলে কামাল বাহিনী শামিম আহমেদের সাথে থাকা লোকজনের ওপর মটর সাইকেল উঠিয়ে দেয়। এ সময় পরিস্থিতির অবনতি হলে শামিম আহমেদ অশান্ত পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা শামিম আহমেদের সাথে থাকা লাইসেন্সধারী অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় শামিম আহমেদ তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র রক্ষার জন্য চেষ্টা করেন। স্থানীয় সুত্র জানায়,কামাল বাহিনীর হাতে ঝালকাঠীর একাংশের লোকজন জিম্মি। কামাল বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললে হামলা মামলার শিকার হতে হয় বরন করতে হয় পঙ্গুত্বের। ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হন কামাল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে। ৭ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুনের অসংখ্য কর্মীরা ঐ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে পঙ্গুত্ব বরন করেছে।
ঝালকাঠির দুস্থ্য ও অসহায় মানুষের আশ্রয় স্থান মোঃ শামিম আহমেদ, তিনি সমাজের অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল সততা ও আস্থার প্রতীক গরীব এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রিয় মুখ জাতীয় শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর, উত্তর ও ঝালকাঠীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ শামিম আহমেদ। একজন মানুষ কতটা উদার মানবিক ও মহৎ হতে পারে এটি তাঁর মানবসেবা দেখলে বোঝা যায়।
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে শুধু দিনে নয় রাতের আঁধারেও গরিব দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন গরিব দুঃখীর বন্ধু ও মানবতার দৃষ্টান্তকারী ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ শামিম আহমেদ। আড়ালে নির্জনে খুব গোপনে তিনি গরিব দুঃখী ও অসহায়, দিনমজুর ও অস্বচ্ছলদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। প্রতিদিনিই তার এ সহায়তা অব্যহত আছে এবং ছিল ।
দেশে করোনা শুরুতেই নিজের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে ঝালকাঠি জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মাক্স বিতরণ করেন এবং পৌর এলাকায় প্রতিটা মোড়ে মোড়ে সাবান দিয়ে হাত দোওয়ার জন্য সু-ব্যাবস্থা করেন যাহা চলমান রয়েছে। ঝালকাঠির ১৫টি মসজিদে করোনা ভাইরাস থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করেন। করোনা মুক্তির জন্য ঝালকাঠি এতিম খানার সকল শিশু সহ দুপুরে খাওয়া ও নগদ টাকা বিতরন করেন।
ঝালকাঠিতে হাজার হাজার মানুষকে নগদ অর্থ, চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, চিনি, ডেটল সাবান, মাক্স প্রদান করেন। ঝালকাঠির পৌরসভার সকল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জেনদের খাদ্যসামগ্রি বিতরন করেন। নরসুন্দর সমিতির ১০১ জনকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
উদ্বোধন স্কুলের পিছনে ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। এ ছাড়াও বাবুর্চি সমতির ১০৭ জনকে সাহায্য প্রদান ও হরিজন সম্প্রদায়ের সকল পরিবারকে খাদ্য ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ শামিম আহমেদ বলেন, আমার নিজ ব্যাক্তিগত অর্থে গরিব দুঃখী ও অসহায়, দিনমজুর ও অস্বচ্ছলদের মাঝে নগদ টাকাসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করছি । দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাবাভিক না হওয়া পর্যন্ত আমার সাধ্যমত সহায়তা অব্যহত থাকবে।
শামিম আহমেদ আরও বলেন, ঝালকাঠীর অভিভাবক, আমার নেতা জননেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এম পি) ভাইর সাহায্য নিয়ে তার পরামর্শ নিয়ে আমি যতটুকু পারি সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, আজ সন্ত্রাসীদের হাতে ভালো মানুষগুলো জিম্মী। তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।