স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একে এম জাকির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় গাবখান ব্রীজের নীচে তার বাড়ির সন্নিকটে কয়েক দফা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাকে। তাকে বাচাঁতে এলে তার পুত্র তকি,কর্মী রাজু,খলিলকে কুপিয়ে জখম করেছে। চারজনই বরিশাল শেরেবাংরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে জাকিরের অবস্থা আশংকাজনক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুমের আত্মীয় কামাল বাহিনী এ ঘটনা ঘটায়।কামাল বাহিনী এর আগেও ঝালকাঠীতে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে যাকে তাকে হাতুড়ি পিটা,কুপিয়ে জকমসহ বিভিন্নবাবে অত্যাচার নিপিড়ন চারিয়ে আসছে।
জাকিরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাচঁ ব্যাগ রক্ত দেয়া হচ্ছে। এদিকে তাকে কুপিয়ে জখম করার খবর ছড়িয়ে পরলে ইউনিয়নে মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম তপু জানান, আমার বাবা ১০ বছর এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারিদের। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নৌকা প্রার্থী ঈর্ষান্বীত হয়ে তার আত্মীয় কামাল বাহিনীর লোকজন দিয়ে আমার বাবাকে গণসংযোগ করার সময় কুপিয়েছে। তার মাথা, পিঠ ও পায়ে ৫ টি কোপ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে দৈবক্রমে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মটর সাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ঝালকাঠি হাসপাতালে গেলে সেখানে আমার বাবাকে ভর্তি হতে দেয়া হয়নি। সেখান থেকে পুলিশের সহায়তায় বরিশাল শেবাচিম হামপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসাদেয়া হচ্ছে বলে তপু জানান।
তপু আরো জানায়, ঘটনার সময় তার সাথে থাকা আমরা আরো ৩ জন আহত হয়েছি। এ বিষয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. রাব্বি জানান, গুরুতর জখম এ রোগীকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই রক্ত দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, আমি এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যানের উপর হামলার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাস্থলে ওসি তদন্তকে পাঠিয়েছি। চেয়ারম্যান সুস্থ হয়ে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শেবাচিম হাসপাতালে সরেজমিন প্রদর্শন কালে দেখা গেছে চিকিৎসাধীন জাকিরের জ্ঞান ফিরেনি। রক্ত দেয়া হচ্ছে। পাশে স্বজনদের কান্নার রোল চলছে।
একেএম জাকির হুসাইন ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান। তাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। হামলার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন নিন্দা ও দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবী করেছে।