ঝালকাঠির এডিশনাল এসপি মাহমুদ হাসানকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি নেতা
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ২:২০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঝালকাঠি জেলা বিএনপির এক উপদেষ্টা ও তার স্বজনরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ঢাকা ও বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষক লীগ নেতার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ সহযোগিতা করায় জবর দখলকারী বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম খান নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীরের ভাড়া করা সৈয়দ মিলন ও তার বাহিনীকে ব্যবহার করছেন পুলিশের বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী সৈয়দ মিলন চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলাসহ চারটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তবে থেমে যায়নি পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র।
জানা গেছে, চাঁদা না দেওয়ায় সদর উপজেলার পিপলিতা বাজারে গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে সৈয়দ মিলনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কৃষক লীগ নেতা খালেক ডাকুয়ার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করে। হামলাকারীরা কৃষকলীগ নেতার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে বাজারে তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার পিপলিতা বাজারে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে খালেক ডাকুয়ার সঙ্গে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের বিরোধ চলছিল। জমির মধ্যে খালেক ডাকুয়ার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ জমি কয়েক দফায় দখলের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর। বিরোধীয় জমি নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিটপিটিশন দায়ের করেন খালেক ডাকুয়া। হাইকোর্ট জমির ওপর স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
খালেক ডাকুয়া ঢাকার টুঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমায় গেলে সুযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম খান লোকজন নিয়ে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে মালামাল লুটে নেয়। এতে বাধাঁ দিতে গেলে খালেকের স্ত্রী রেহানা বেগম হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়। এমনকি তার সাথে থাকা স্বর্ণালংকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা এসময় রেহানা বেগমের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে পিপলিতা বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঝালকাঠি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় রেহানা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নির্যাতিত কৃষক লীগ নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সৈয়দ মিলন ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর খান। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি ঝালকাঠির সৎ, নিষ্ঠাবান ও পুরস্কার প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এম এম মাহমুদ হাসানকে জড়িয়ে ঢাকা ও বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করে জাহাঙ্গীর ও মিলনের অনুসারিরা।
মামলার বাদী রেহানা বেগম বলেন, পুলিশ সৈয়দ মিলনকে সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছে অস্ত্র পেয়েছে, মামলা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও জাহাঙ্গীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী থেমে নেই। তারা আমাদের এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান একজন ভালো পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে পুলিশের ঊর্ধধতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।