জেলা পরিষদ নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে ৫ নেতার মনোনয়ন পত্র জমা
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:২৮ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী :
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বরিশালের ৪ প্রার্থী। এছাড়া মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আরো এক প্রার্থী। বুধবার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বরিশাল জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মোঃ মইদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বি এম কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু। এছাড়া এই দিন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হেসেন। এর আগে মঙ্গলবার সর্ব প্রথম মনোনয়ন ফরম জমা দেন বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. কে এম জাহাঙ্গীর। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আজ মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিনে জাকির হোসেন জমা দিবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তাকে নিয়ে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাড়াবে ৫ জনে।
বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত যারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ও দিবেন সব মিলিয়ে প্রার্থী ৫ জনই থাকবে। এর বাইরে অনেকে অনেক গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু প্রার্থী আর বাড়বে না। এই ৫ জনের মধ্য থেকে দলীয় সভানেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ড যাবে যোগ্য মনে করবে তাকেই দলীয় মনোনয়ন দিবে। তিনি বলেন দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। এখানে বিরোধীতা করার সুযোগ নেই।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মইদুল ইসলাম বলেন, ফর্ম জমা দিয়েছি। দলের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবো। তবে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। একই কথা বলেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হেসেন। তিনি বলেন, আমি মনোনয়ন না পেলে দলের যিনি পাবেন তারপক্ষেই কাজ করবো। বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ফর্ম জমা দিয়েছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো। না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তারপক্ষে কাজ করবো। বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, আমি ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। যার কারণে ৮ মাস বরিশাল কারাগারে ছিলাম। এছাড়া ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ১৫ই আগষ্ট নগরীতে মিছিল বের করি এবং ৩৪ মাস বরিশালে কারাগারে আটক ছিলাম। আমি জাতির জনকের আদর্শে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি। আমি মনে করি আমি এই পদের যোগ্য এবং নেত্রী অবশ্যই আমার যোগ্যতা মূল্যায়ন করবে।