৩ বিঘা জমিতে জারবেরা ফুলের ৬টি বাগান তৈরি করেছেন তিনি। এতো বড় বাগানে তিনিসহ কাজ করছেন আরও ১০-১৫ জন স্থানীয় যুবক।
শুভর বাগানে প্রতিদিনই ফুটছে বাহারি সব জারবেরা। এ ফুল চাষে দিন বদলে গেছে এ যুবকের।
স্থানীয়রা বলছেন, যশোর গদখালী ফুলের রাজাধানী হলেও মাগুরাকে জারবেরার রাজধানী বানিয়েছেন শুভ। যা অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিন বিঘা জামিতে গড়া শুভ আহমেদের জারবেরা ফুলের বাগান। বাগানজুড়েই ফুটে আছে নানা রঙের ফুল। ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতিও।
বাগান মালিক শুভ আহমেদ বলেন, আমি একটি বে-সরকারি কোম্পানির চাকরির করার পাশাপাশি ফুলের বাগান করার স্বপ্ন দেখি। মূলত সেখান থেকে প্রথমে ছোট পরিসরে বাগান করলেও এখন তার পরিধি বেড়েছে। জারবেরা ফুলের বাগান রয়েছে ৬টি।
কেমন আয় হয় প্রশ্নে খুশি এ ফুলচাষী। তিনি বলেন, আমার বাগানের ফুল বিয়ে,জন্মদিন পহেলা বৈশাখ,জাতীয় অনুষ্ঠান,বড়দিন ও নববর্ষসহ সব উৎসবে এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ঢাকা আগারগাঁওয়ে,রামপুরা, চিটাগাংয়ের আড়তদাররা এ ফুল নিয়ে যায়। বাজার মূল্য ভালো থাকায় প্রতি ১ হাজার ফুল ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এখানে খুচরা জারবেরা ফুলের একটা স্টিকের দাম ১২ টাকা থেকে ১৪ টাকা। আমার বাগানে ৬ রঙের ফুল রয়েছে।
ফুল বাগানের মালি সেলিম শেখ বলেন, বাগানে ১০জন শ্রমিক কাজ করেন। বাজারে চাহিদা কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে বাগানেই কাটে সময়। ভোর থেকে বিকাল পযন্ত জারবেরা ফুলের তোড়া বাঁধি। তবে ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠাণ্ডায় ফুলের উৎপাদন একটু কম হচ্ছে। আবহাওয়া একটু ভালো হলে উৎপাদন বাড়বে।
মাগুরায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো:রফিকুজ্জামান বলেন, বেলনগর গ্রামে বাণিজ্যকভাবে জারবেরা ফুলের চাষ করে সফল হয়েছে শুভ আহমেদ। তাকে দেখে ওই এলাকার অনেক যুবক ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তাছাড়া ফুলের চাষ করে দেশের অর্থনীতির চাকা আর সচল রাখছেন এ যুবক। সত্যি শুভ আহমেদ প্রশংসার দাবি রাখেন। আমরা তাকে ফুল চাষের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।