ছাত্রলীগ নেতার রগ কাটার অভিযোগ যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২৩, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
ছাত্রলীগ নেতার রগ কাটার অভিযোগ যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে
ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগ কর্মীরা সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয় (২২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার ছোট ভাই নয়ন উদ্দিন চৌধুরী (১০) ও যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকেও (৪০) কুপিয়ে জখম করেছেন তারা।
আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা হদয় ও তার ছোট ভাই নয়নকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আহত যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের বাঁশতলা নামক স্থানে শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন মাস্টার ও মো. নাঈম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে চরডুব্বা গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে যুবলীগ কর্মী আরিফ হোসেন ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০-২২ জন নেতাকর্মী দলবদ্ধ হয়ে ইফরান হোসেন নামে এক দোকান কর্মচারীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে যায়।
যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় হামলাকারীদের সামনে পড়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় যুবলীগ কর্মীরা মোশরফের ওপর হামলা চালায়। তার সঙ্গে থাকা আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়ের ওপরও হামলা চালিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। হৃদয়ের চিৎকারে তার ছোট ভাই নয়ন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- আরিফ হোসেন, তার ভাই সাইফুল ইসলাম, নেজাম উদ্দিন মাস্টার, মো. নাঈম, রিফাত, অন্তর, আরাফাত, মেজবাহ, রাহাত, মো. আরমান, আমজাদ হোসেন, মো. হায়দার, মো. মিরাজ ও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হিরণ বলেন, দুই গ্রুপেই আমাদের দলের লোকজন। তুচ্ছ ঘটনায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।