পটুয়াখালী প্রতিনিধি : ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নবগঠিত কমিটির অনুসারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাতের এ ঘটনার রেশ কাটেনি আজ বৃহস্পতিবারও। এ দিন সকালেও ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিলসহ মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম রাব্বিকে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত হলে তাকে পবিপ্রবির হেলথ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে নতুন কমিটির অনুসারীদের সঙ্গে পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এতে আহতদের মধ্যে সোহেল রানা, জাহিদ হাসান, রাফসান, মেহেদী হাসান, জাহিদ হোসেন, সানিউল ইসলামসহ সাতজনের অবস্থা গুরুতর।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে সভাপতি এবং মেহেদী হাসান তারেককে সাধারণ সম্পাদক করেন। কমিটি ঘোষণার পর সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান করি। কিন্তু একটি পক্ষ ঐক্যের ডাকে সাড়া না দিয়ে গত ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। বুধবার তারা বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পদধারী নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদবঞ্চিত এক নেতা বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা করলে আগে থেকে সবাইকে জানাতে হবে। তা না করে আকস্মিক আনন্দ মিছিলের আয়োজন হয়। এতে উপস্থিত থাকতে না পারায় গোলাম রাব্বি নামে এক কর্মীকে মারধর করেন শাখা সভাপতি আরাফাত। এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। আমরা পদবঞ্চিতরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সন্তোষ কুমার বসু জানান, পরিস্থিতি শান্ত আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।