কক্সবাজার প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছে। রাতেও তারা সৈকতে নেমেছেন। দিনের বেলাতেও উত্তাল সমুদ্রে সৈকতে পর্যটকেরা নামার চেষ্টা করেছেন। সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মীরা হিমশিম খেয়েছেন।
টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, সৈকতের লাবণি থেকে কলাতলী পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগম ছিল। সবাইকে সৈকত তীর থেকে নিরাপদে থাকতে মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে টুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মীরা হিমশিম খেয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মহেশখালীর ধলঘাটা এলাকায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে ৯টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৪ টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ৩২৩ মেট্র্রিক টন চাল, ৮ লাখ ২৫ হাজার নগদ টাকা ও এক হাজার ১৯৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫০ কার্টুন ড্রাই কেক, ৪০০ কার্টুন বিস্কুট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জন পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং ৮ হাজার ৬০০ জন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী ও সিপিপি সদস্য।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিদ সাইফ আহমেদ বলেন, উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও জোয়ারের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় উপকূলে আঁচড়ে পড়েছে।