বরিশালের গৌরনদীতে বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৭ যুবককে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের নির্যাতিতা প্রবাসীর স্ত্রী (ভিকটিম) বাদী হয়ে এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিম ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে আমি শরিকল বাজারসংলগ্ন এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাই। নিজ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমি বান্ধবীর বাড়ি থেকে বেলা ১১টার দিকে হেটে শরিকল টেম্পোস্ট্যান্ডে রওনা দেই। পথিমধ্যে আমি বেলা সোয়া ১১টার দিকে বেল্লাল রাঢ়ীর চায়ের দোকানের কাছে পৌঁছলে বখাটে ইয়াসিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা, হৃদয় চৌকিদার, সালমান শিকদার, রেজাউল বেপারীসহ বখাটে ৬-৭ যুবক আমার পথরোধ করে। এ সময় তারা জিম্মি করে আমাকে জোরপূর্বক বেল্লালের চায়ের দোকানের পেছনে একটি খুপরি ঘরের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটে ইয়াছিন, জিহাদ, হৃদয় জোরপূর্বক আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, এ সময় ভিডিও ধারণ করে তারা বলে রেজাউল করিম পলাশের বাড়িতে গিয়ে পলাশের সঙ্গে কি করেছ? তাকে (পলাশ) বল আমাদেরকে ২০ হাজার টাকা দিতে। এরপর আমাকে নিয়ে তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী পলাশের বাড়িতে গিয়ে তার (পলাশ) কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পলাশ টাকা দিতে অস্বীকার করলে নরপশুরা পলাশের সহযোগিতায় পলাশের বসত বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয়তলার একটি রুমের মধ্যে নিয়ে পুনরায় পালাক্রমে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে আমাকে আটকে রাখে।
এদিকে খবর পেয়ে গৌরনদীর শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ পলাশের বাড়িতে পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও পাঁচ যুবককে আটক করে।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ইয়াসিন মোল্লা, শিশির হাওলাদার, সালমান শিকদার, রেজাউল বেপারী, পলাশকে রোববার বিকালে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
ভিকটিমকে রোববার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার অন্য ২ আসামিকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে ওসি আফজাল হোসেন জানান।