গলাচিপায় ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের উপর এনজিও কিস্তির চাপ
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৮ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
সঞ্জিব দাস,গলাচিপাঃ
পটুয়াখালী ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের উপর এনজিও কিস্তির চাপ বছর ঘুরে আবার এলো ইলিশ প্রজনন মৌসুম। আর এ ইলিশ প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ করতে, প্রতি বছরের ন্যায় বাংলাদেশ সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষনা অনুযায়ী, পটুয়াখালীর গলাচিপায় রামনাবাদ ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে আগামীকাল ৯অক্টোবর থেকে ৩০অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন ব্যাপি জাল ফেলা, ইলিশ আহরন, বিক্রয় ও পরিবহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
একারনে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর আওতায় ৩০কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও, অভিযোগ আছে সঠিক মাপে প্রকৃত জেলেরা বি ত হচ্ছে এ সুবিধা থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ থাকে ঋণগ্রস্থ্য জেলেদের উপর। তাই ব্যাংক ও এনজিও’র দেনার দ্বায়ে বাধ্য হয়ে ইলিশ শিকারে নামেন অনেকেই, ফলে প্রকৃত অবরোধ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় না।
এছাড়াও জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায় ঋণ ও দাদনের দ্বায়ে মাছ ধরতে নামে অনেকেই, আবার অভিযোগ আছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় মৎস্য অফিস’কে ম্যানেজ করে নদীতে মাছ শিকার করে অনেক জেলেরা, এ কারনে ইলিশ বৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে গেলে মামুন মাঝি, সুমন মৃধা, জসিম মাঝি আরও অন্যান্য জেলেরা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও নৌকা তৈরি করা হয়, পরবর্তীতে নদীতে মাছ ধরে সেই মাছ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা হয়। কিন্তু অবরোধের ২২দিন জেলেরা বেকার হয়ে পরে, এসময় জেলে পরিবারের সদস্যদের অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয় প্রায় দিনই। এর মধ্যেও ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ পরে যায় জেলেদের উপর, কিস্তি পরিশোধ না করতে পারলে চলে মানসিক নির্যাতন।
আবার সঠিক সময়ে কিস্তি পরিশোধ না করতে পারলে পরবর্তীতে বহু ঝামেলায় পরতে হয়, এমনকি ভাগ্যে ঋণের টাকা জুটবেনা বলেও জানান তারা। এছাড়া আরও বলেন, কিস্তির কারণে সংসারে প্রতিনিয়তই অশান্তি লেগে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমে পরে বহু জেলেরা।
এ কারনে অবরোধের ২২দিন ব্যাংক ও এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছে উপকূলের শতাধিক জেলেরা।