বারানসী থেকে যাত্রা করা প্রমোদতরীটির পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ঘুরে মোট ৫১ দিনে আসামের ডিব্রুগড়ে পৌঁছানোর কথা।
যাত্রার তৃতীয় দিনে বিহারের ছাপরায় গঙ্গা নদীতে নাব্যতা সংকটে আটকে গেছে ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’।
ভারতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
গত শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এই প্রমোদতরীর উদ্বোধন করেন। প্রমোদতরীটির পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ঘুরে মোট ৫১ দিনে আসামের ডিব্রুগড়ে পৌঁছানোর কথা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিহারের ছাপরা জেলার ডরিগঞ্জ এলাকার কাছে গঙ্গায় পানির নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রমোদতরীটি আটকে গেছে।
পর্যটকদের ছাপরা থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে ডরিগঞ্জ বাজারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ‘চিরন্দ সরণ’ দেখানোর জন্য সেটির তীরে ভেড়ার কথা ছিল।
কিন্তু নদীতে নাব্যতা কম থাকায় নৌযানটি তীরে ভিড়তে পারছে না বলে জানান কর্মকর্তারা।
তবে পরে জানা গেছে, এসডিআরএফ দল একটি ছোট নৌকার মাধ্যমে পর্যটকদের তীরে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। যেন তারা ‘চিরন্দ সরণ’ দেখতে পারেন।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি প্রমোদতরীটির সুন্দরবন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা। উজানে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার এবং ভাটিতে প্রতিঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে চলা ‘গঙ্গা বিলাস’ ছয় দিনে বাংলাদেশের জলপথ পাড়ি দেবে।
‘গঙ্গা বিলাস’ এর যাত্রীরা যাত্রা পথে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যগতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন।
প্রটোকল রুট ধরে এই নৌযান চলাচলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। সেদেশের সরকারের উদ্যোগে এটি চালু হলেও পরিচালনার দায়িত্বে আছে ‘অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজেস’।
এতে জন প্রতি একদিনের টিকেটের দাম পড়বে ২৪ হাজার ৬৯২ রুপি; যাত্রাপথের মোট ৫১ দিনের ভাড়া ১২ লাখ ৫৯ হাজার রুপি। তবে আলাদা আলাদা প্যাকেজেও পর্যটকরা এই তরীতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন।
বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে মোট ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন। সেই সঙ্গে থাকছে শরীরচর্চা আর রূপচর্চার কেন্দ্রও।
‘গঙ্গা বিলাস’ বাংলাদেশে ঘুরবে ৬ দিন