ফকির শহিদুল ইসলাম,খুলনা থেকেঃ
খুলনায় কিশোরী সাদিয়া আক্তার মিম(১৩)কে নির্যাতন পূর্বক হত্যার একমাস পর মামলা দায়ের। কিশোরীর বোন সুমি আক্তার ফারজানা বাদী হয়ে রুপসার যুগিহাটির আবুল কালাম সিকদারের পুত্র (১)মোঃ রাব্বী (২৩) তার মাতা(২) ফিরোজা বেগম (৪৫) (৩) রোমেছা বেগম(৫০) (৪) টুম্পা(২০) (৫) জাহিদুল ইসলাম ইমান (৪৫)সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামী করে প্রথমে খুলনা জেলার রুপসা থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন করেনি । থানা বাদীর লিখিত অভিযোগটি গ্রহন না কারায় বাদী খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন । যার মিস পিটিশন নম্বর- ১৫২/২২।
বাদী সুমি আক্তার ফারজানা কর্তৃক দাখিলকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় আনিত একটি নালিশী দরখাস্ত । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বিজ্ঞ আদালত বাদীর লিখিত অভিযোগ, হলফনামা ইত্যাদি দেখিলাম ও পর্যালোচনা করিলাম। নালিশী দরখাস্ত বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন করেন নাই মর্মে অভিযোগ করা হইয়াছে। এমতাবস্থায় উক্ত ধারার অধীনে দায়েরকৃত এই মিস পিটিশন মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করতঃ তদন্ত পূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপসা থানা, খুলনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত রুপসা থানাকে আদেশ প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্যক্রম সম্পন্ন করিয়া রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী সুমি আক্তার ফারজানা কর্তৃক দাখিলকৃত নালিশী দরখাস্তের বিবরণ সুত্রে জানাযায়, যৌতুকের দাবীতে অত্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কা স্ত্রীকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করিয়া হত্যা ও সহযোগিতার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় অপরাধ। সুমি আক্তার ফারজানার কনিষ্ঠ বোন সাদিয়া আক্তার মিম (১৩) বৎসর প্রায় । ভিকটিম সাদিয়া আক্তার মিম খুলনা শহরস্থ খুলনা জেলা পুলিশ স্কুলের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ছিলো।