কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পেটালেন ছাত্র কে
প্রকাশ: ২৭ জুন, ২০২২, ৭:২০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ:
বিদ্যালয়ের ড্রেস পরে না যাওয়ায় ৯ম শ্রেনীর ইয়ালিদ অলিভ নামের এক ছাত্রকে পেটালেন ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি সাগর হোসেন। এমন অভিযোগ ভুক্তভুগী পরিবারের। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার, মডেল থানা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
জানা যায়, ইয়ালিদ অলিভ কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র। সে পৌরসভার ডাক বাংলা পাড়ার কামাল গাজির ছেলে। সে প্রতিদিনের মত সোমবার বিদ্যালয়ে যান। ওইদিন অলিভ স্কুল ড্রেসের শার্ট পরলেও প্যান্ট পরতে ভুলে যায়। বিষয়টি নজরে আসে বিদ্যালয়ের দপ্তরি সাগরের। এ সময় সাগর ওই ছাত্র কে ডেকে সব শিক্ষকদের সামনে মারপিট করেন।
এ বিষয়ে অলিভের পিতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার , স্থানীয় থানা ও গণমাধ্যম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে ছাত্র অলিভ বলেন,আমি স্কুল ড্রেসের শার্ট পরে গিয়ে ছিলাম। তবে প্যান্ট পরতে ভুলে গিয়েছি। এ কারনে তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটান। এতে করে আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি।
অলিভ বলেন,রবিবারও তিনি ওই বিদ্যালয়ের তিন জন ছাত্রেক বহিরা গত হিসেবে পিটিয়ে পুলিশ দিয়েছেন। যার মধ্যে দুই জন ছাত্র ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের। তিনি প্রায় সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে খুব আচারন করে থাকেন। সে স্থানীয় হওয়ায় কারনে এলাকায় প্রভাব খাটান। এ কারনে কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পায়না। এ বিষয় মুঠো ফোনে জানতে চাইলে
অভিযুক্ত দপ্তরি সাগর হোসেন বলেন,ওই ছেলেকে একটা থাপ্পড় মেরেছি। আর তাও মেরেছি ভাইপো হিসাবে। যদি এতে আমার দোষ হয়। তাহলে আমি দোষি।
রবিবারের ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ছিলেন বহিরাগত ছাত্র। ওই ছাত্ররা আমাদের বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারপিট করছিল। এ কারনে তাদেরকে মেরে পুলিশে দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজুর রহমান বলেন,আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না। ওই ছেলের পিতা আমাকে ফোন করেছিল। আমি তাদেরকে কাল বিদ্যালয় চলার সময় আসতে বলেছি। ঘটনাটি শুনে দেখি,কিভাবে কি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যদি সে তাকে মেরে থাকে, তাহলে অবশ্যই ভুল করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,ঝিনাইদহ থেকে ফিরছি। ঘটনাটি জানতাম না। আপনার কাছ থেকে জানলাম আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, কি ঘটেছে। গতকাল কেউ একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি।