কোটচাঁদপুরে দায়সারা ভাবে সম্পন্ন তদন্ত কমিটির তদন্ত
প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২২, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল্লাহ বাশার, ঝিনাইদহ
দায়সারা ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এমএইচভিদের ভাতা টাকা কর্তন নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত। তাদের আলাপ চারিতার অডিও ক্লীপ ও ম্যাসেজের তথ্য ফাঁসের পরও কোন প্রমান মেলেনি তদন্তে বললেন কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তাব্যক্তিদের নিকট পূনতদন্তের দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ২০২০ সালের দিকে মাল্টিপারপস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি)দের নিয়োগ দেন সরকার। যারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা পরিদর্শন করেন,রোগিদের সিসিতে পাঠান,স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিও ইপিআইসহ বিভিন্ন কাজের সহায়তার করে থাকেন।
আর ওইসব কাজের জন্য এমএইচভিরা পেয়ে থাকেন মাসে ৩ হাজার ৬শত টাকা। যা পান বছরে একবার।
সম্প্রতি ওই ভাতার টাকা থেকে ১ হাজার ৫শত টাকা কর্তন করেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তাব্যক্তিরা। যা নিয়ে হইচই শুরু হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়।
এ ঘটনা নিয়ে কাজ শুরু করেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে এমএইচভিদের গ্রুপে সর্তক করেন, এমএইচভি জিয়াউর রহমান খান। পরে ওই সর্তক বাতাটি প্রকাশ হয়ে যায়। যা নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা । তিনি ওই ঘটনা তদন্তের জন্য ৩-৭-২০২২ (রবিবার) তিন সদস্যের কমিটি করে দেন। কমিটির প্রধান করা হয় কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগরকে। বলা হয় বিষয়টি তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। যা দেয়া হয়েছে ২২ দিন পর গেল সোমবার(২৫-০৭-২২ তারিখে)।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কৃষ্ণ কমল পাল সাগর জানান, তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টও জমা দেযা হয়েছে। তদন্তে কি পেলেন,জানতে চাইলে,তিনি বলেন,তদন্ত করার কথা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তদন্তের ভাল মন্দ জানতে হলে স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সম্পর্কে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট ও জমা দিয়েছেন ওই কমিটি। যারা ভুক্তভোগী, তারা বলেছে আমাদের কাছ থেকে কোন টাকা কাটা হয়নি। এ ছাড়া যার নিয়ে সমস্যা, সে বদলি হয়ে গেছে। এ জন্য এটা নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করতে চাচ্ছি না।
কিসের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করেছিলেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্তের সময় রিপোটারদের ডাকা হয়েছিল কিনা,জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ডাকা হয়নি।
তদন্ত প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন শুভ্রা রানি দেবনাথ বলেন,পত্রিকায় কি বিষয়ে লিখেছেন,সেটা জানার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। এখানে কোন পত্রিকার প্রতিনিধি আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোন প্রতিনিধি লিখিত অভিযোগ করলে,সেটা আমরা তদন্ত করে দেখবো।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তাব্যক্তিদের নিকট পূনতদন্তের দাবী করেছেন এলাকাবাসী। সাথে সাথে দোষিদের বিচারেরও দাবী করেন তারা।