বরিশাল অফিস : পর্যটকদের মারধরের অভিযোগে কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়ার সাদ্দাম মালেের জামিন হয়েছে। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিশ করেছেন কে এম বাচ্চু।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে কুয়াকাটার নিলঞ্জনা হোটেলের সামনে থেকে তাকে মহিপুর থানা পুলিশ আটক করে।
বরগুনা সদর উপজেলার বাশবুনিয়া এলাকার ইতালি প্রবাসী সাদিকুর রহমান সন্ধ্যায় সপরিবারে কুয়াকাটায় যায়।
ঘোরাঘুরি শেষ করে রাত ১০টার দিকে নিলঞ্জনা হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে কুয়াকাটা মাল্টিমিডিয়ার অভিনেতা ও নির্মাতা সাদ্দাম মাল ও তার সহযোগীরা আসেন।
এ সময় তাকে দেখে তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে ওই প্রবাসীকে গালিগালাজ করতে থাকেন সাদ্দামের সহযোগীরা। এক পর্যায়ে সাদ্দাম মাল নিজেই সাদিকুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের মারধর করেন।
পরে রাত আনুমানিক ১টার দিকে মহিপুর থানায় অভিযোগ করেন ওই প্রবাসী। এরপর ভোর ৪টার দিকে সাদ্দাম মালসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
প্রবাসী সাদিকুর রহমানের ভাগ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাদ্দামকে দেখে তাকে আমাদের সঙ্গে খাবার খেতে আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু সঙ্গে থাকা লোকজন খারাপ আচরণ করে।
সাদ্দাম নিজেও আমাদের মারধর করে। আমরা অভিযোগ দিলে ভোর ৪টার দিকে সাদ্দাম মাল ও একজনকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ , এলোপাথারী কিল, ঘুষি মেরে ফুলা জখম করা। ১নং বিবাদী মোঃ সাদ্দাম মাল বাদীর গলায় থাকা স্বর্নের চেইন এক ভড়ি ওজনের মূল্য অনুমান আশি হাজার টাকা ও ২নং বিবাদী আল আমিন কাজী বাদীর সাথে থাকা নগদ ত্রিশ হহাজার টাকা এবং ৩নং বিবাদী সুমন সিকদার বাদীর হাতে থাকা এন্ড্রয়েট মোবাইল৪নং বিবাদী মোঃ রেজাউল ১নং সাক্ষীর সাথে থাকা একটি বাটন মোবাইল নেয়ার অভিযোগ করা হয়।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,পর্যটক মামলার বাদী ভিকটিম মোঃ সাদেক মৃধার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয় যার নম্বর -৫ এবং মামলার আসামী সাদ্দাম মাল ও সুমন সিকদার কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদেক মৃধা আসামীদের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় মামলা করেন ১৪৩/৩২৩/ ৩৭৯/ ৫০৬ ধারায়।