উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এর হস্তক্ষেপে কিশোর কিশোরী ক্লাবের
সমন্বয়কারীদের জাল স্বাক্ষর করে তুলে নেয়া টাকা ফিরিয়ে দিলেন মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেলিনা বেগম ও হিসাব রক্ষক মো.সরোয়ার হোসেন। গত ১৩ আগষ্ট স্বরূপকাঠি উপজেলার মহিলা অধিদপ্তরে কিশোর কিশোরী ক্লাবের সমন্বয় কারিদের ভাতার টাকা জাল সাক্ষর করে আত্মসাৎ করেন মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই শিরোনামে
বাংলাদেশ বুলেটিন, দৈনিক আজকের সুন্দরবন,এবং একাধিক অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তাদের টাকা ফেরত দিলেন মহিলা অধিদপ্তরের অভিযুক্ত ঐ দুই কর্মকর্তা।
স্বরূপকাঠি পৌরসভা এবং ১০ টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের একজন করে নির্বাচিত মহিলা জনপ্রতিনিধিকে সমন্বয়কারী হিসেবে সাময়িক নিয়োগ দেয়া হয়। এদেরকে প্রতিমাসে ২হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া মহিলা অধিদপ্তর ।
আর সেই ভাতার টাকা সঠিক ভাবে না পাওয়া এবং তাদের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে নেয়ার অভিযোগ করলে সন্বয়কারীদের বক্তব্য এবং জাল সাক্ষরের তথ্য প্রমান সহ বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে।
তারা আরো জানান, স্বরূপকাঠি উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহানকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম।আপনাদের নিউজ এবং মধ্যস্ততায় তার অফিসে বসে টাকা ফেরত পেয়েছি ।
তারা আরো বলেন, রেভিনিউ স্টাম্পের উপর পূর্বের করা জাল স্বাক্ষরের নিচে নতুন করে স্বাক্ষর নিয়ে মোট ৪৩২০০ টাকা ফেরত দেয়া হয় আমাদের।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক সরোয়ার হোসেন বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিলো তবে সেটা আমরা সমন্বয় কারিদের টাকা ফেরত দিয়ে সমন্বয় করে নিয়েছি। কাকে কতো টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে বলে সেটা মোবাইলে বলা যাবেনা সাক্ষাতে বলবো।
এ বিষয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারগিস জাহান বলেন, টাকা ফেরত দিয়ে তারা যে অপরাধ করেছে সেটা প্রমান করে দিয়েছেন। অপরাধ প্রমান হওয়ার পর কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা ফেরত দেয় হয়েছে তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা উপজেলা চেয়ারম্যানের রয়েছেন মহিলা অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছে তারা বিষয়টি দেখবেন আশা করি।