সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার রাত ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে একদিনে সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন।
এই মামলা দায়েরের ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে কিছু লোক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের (জাবিসংলগ্ন) বাসা থেকে তুলে নেয়। স্থানীয় পুলিশ জানায়, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তোফাজ্জল হোসেন। শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে উল্লেখ করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।
এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।