ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এর আগে আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই আদালতে বিকালে তিনি জামিন পান।
গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ারুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জামিনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে কারাফটকে এনেছি। পরে ৭টা ৫০ মিনিটে তার স্বজনরা এলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।’
কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার ভক্তরা তার ওপর ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় কারও সঙ্গে কথা বলেননি মাহি। তবে হাত উঁচিয়ে ভক্তদের ভালোবাসার জবাব দেন তিনি। পরে স্বজনদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কারাগার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন তিনি।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন, মো. আনোয়ার সা’দাত সরকার, রিপন চন্দ্র সরকার, নবীজুল ইসলাম ও কামরুল হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর আদালতের পুলিশের এসআই মো. ফয়েজ আমেদ শামীম।
মাহির আইনজীবী আনোয়ার সা’দাত সরকার বলেন, ‘মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার সম্প্রতি সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে যান। সেখান থেকেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর পান। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাহি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিতে শনিবার সকালে দেশে ফেরেন। কিন্তু আদালতে পৌঁছার আগে বিমানবন্দর থেকেই তাকে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (জিএম) গ্রেফতার করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৫-এ তুললে নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন। এজন্য আমরা তখন তার জামিন আবেদনের সময় পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘পরে আদালতের সময়ের মধ্যে আমরা বিচারকের কাছে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করি। আদালতে একজন নামী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি আদালতের বিচারকের সামনে উত্থাপন করলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মাহির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুইটি মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে বিকালে তার জামিনের কাগজপত্র গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।’
এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং মারধর, চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনায় বাসন থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায়ই মাহিকে জামিন দেন আদালত।