কাউখালীতে সরকারি গণগ্রন্থাগার তালাবদ্ধ ব্যক্তি উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চালু
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২২, ১:০৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
কাউখালী উপজেলার একমাত্র সরকারি গণপাঠাগারটি দীর্ঘ ২ বছর পর্যন্ত তালাবদ্ধ রয়েছে। গণপাঠাগারে বই থাকলেও বই পড়ার কোনো উদ্যোগ নেই উপজেলা পরিষদের। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গণগ্রন্থাগারটি সরকারিভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সেই সময় খুব বই প্রেমিদের আনাগোনায় মুখরিত থাকতো গণপাঠাগার অঙ্গন। ষাটোর্ধ্ব আ. মোতালেব জানান, সেই সময় অনেক পাঠক লাইব্রেরিতে আসন না থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো কখন আসন খালি হবে, তখন লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে বই পড়বেন। বই পড়ার মাধ্যমে আলোকিত হতো কাউখালীবাসী। স্কুল, কলেজ ও অফিস ছুটির পর পরই প্রতিদিন বিকালে প্রতিযোগিতায় নামতো কখন পত্রিকা ও বই পড়বেন সরকারি গণপাঠাগারে গিয়ে। সে সময় লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য একজন লাইব্রেরিয়ান ও একটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি থাকতো। বর্তমানে ম্যানেজমেন্ট কমিটিতো দূরের কথা, লাইব্রেরিয়ান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রায় দুই বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর আজও লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেয়া যায়নি। এদিকে এই সুযোগে বইপ্রেমীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আ. লতিফ নিজ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই পড়তে আগ্রহীদের বই পৌঁছে দেন।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি এলাকার বইপ্রেমী ও সুধিজনদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. শাহ্ আলম তালুকদার জানান, সরকারিভাবে যখন গণপাঠাগারে বই পড়ার তেমন কোনো সুযোগ না থাকায় আ. লতিফের এই ভ্রাম্যামাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে বিভিন্নস্থানে বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করায় এলাকার অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ মিয়া জানান, উপজেলা পরিষদের পণপাঠাগারে লাইব্রেরিয়ানের মৃত্যুর পর কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, সমস্যা শিগগিরই কেটে যাবে।