পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা, কালীগঙ্গা, কচাঁ ও গাবখান নদীর ফের অস্বাভাবিক জোয়ারে অন্তত ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে তলিয়ে গেছে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পনিতে ডুবে গেছে বেকুটিয়া, সোনাকুর, আমরাজুড়িসহ তিনটি ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে এবং স্টীমার, লঞ্চ ঘাটের রাস্তা।
ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। এছাড়াও কাঁচা ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পানির তোড়ে অনেক রাস্তা ঘাটে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
জোয়ারে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেড়ে যায়। হাজার হাজার পরিবার এখন জোয়ার আতঙ্কে।
রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ফসলি জমি-মাঠ পেরিয়ে পানি ঢুকে পড়ে বসতঘরে। কাউখালী-স্বরূপকাঠী সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে গেছে।
অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে বেশি পানি জমে যাওয়ায় রোপা আমন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেতে পানি জমে অনেক স্থানে পচে গেছে ক্ষেত। বিরামহীন বর্ষণে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। সয়না ,রঘুনাথপুর , বেতকা, ধাবরী, শীর্ষা,আমরাজুড়ি, সোনাকুর, হরিণধারা, আশোয়া, গন্ধর্ব, কুমিয়ান, শিয়ালকাঠী, জোলাগাতি, ফলইবুনিয়ার , বাসুরী, বিড়ালজুরি, ডুমঝুরী, বেকুটিয়া, নিলতি, কেশতাসহ গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পানিতে ভিজে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে।