ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী এক বখাটে যুবকের উত্ত্যক্তের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের উত্তর আউরা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরিন আক্তার স্থানীয় নাসির হাওলাদারের মেয়ে ও কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, নাসরিনকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল প্রতিবেশী জালাল আকনের বখাটে ছেলে সৈকত আকন। মেয়ের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় তারা। মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তার স্বজনরা। এর পরও স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বিরক্ত করতে থাকে সৈকত। এ নিয়ে নাসরিনের বাড়িতেও অশান্তি দেখা দেয়। সৈকতের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনায় বিচারও চাওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না মেয়েটির বাবা-মা। এক পর্যায়ে ওই যুবকের উত্ত্যক্ত সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
নিহতের মা চম্পা বেগম বলেন, সৈকতের উত্ত্যক্তের কারণেই বুধবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় আত্মহত্যা করেছে নাসরিন। ওই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কাঁঠালিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, নাসরিন শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল, পড়াশোনায়ও ভালো ছিল। তবে উত্ত্যক্তের বিষয়টি আমাদের জানায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আলম মিলু বলেন, ‘সৈকত বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করত। তবে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা চলছিল। তা ছাড়া উত্ত্যক্তের কোনো অভিযোগ পাইনি।’ ঘটনার পরই অভিযুক্ত সৈকত গা-ঢাকা দেওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে তার বাবা জালাল বলেন, ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা ফিরিয়ে দেয়। এরপর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওসি মুরাদ আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।