সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। ফলে ভোলার ইলিশাসহ বিভিন্ন লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। ঢাকা, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামগামী মানুষের চাপ ছিল অনেক বেশি।
তবে এসব লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। ভোলার সাত উপজেলায় বিআইডব্লিটিএর তালিকাভুক্ত ২৪টি লঞ্চঘাটসহ প্রায় ৪০টি ঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
এসব ঘাট থেকে ঢাকা-ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ৪০টি লঞ্চ চলাচল করছে। এরমধ্যে বেশি ভিড় রয়েছে চরফ্যাশনের বেতুয়া লালমোহনের গজারিয়া খাল গোড়া, মঙ্গল সিকদার, তজুমদ্দিন, বোরহানউদ্দিনের হাকিমুদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরের ইলিশা লঞ্চঘাটে। এ ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। তাদের বেশীরভাগই কর্মজীবী। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে তারা কর্মস্থলে ফিরছেন। রিয়াফ ও তার স্ত্রী সুমাইয়া গার্মেন্টসে চাকরি করেন। দুই ছেলে নিয়ে গজারিয়া ঘাটে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের। কথা হলে রিফাত বলেন, আমরা গার্মেন্টেসে চাকরি করি, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছি, এখন ছুটি শেষ তাই ঢাকায় যাচ্ছি। গজারিয়া খাল গোড়া লঞ্চঘাটের যাত্রী আংকুরা বেগম, আব্বাস, রহিমসহ অন্যরা জানান, ঈদের ছুটি শেষ, এখন ঢাকায় যাচ্ছি। কিন্তু লঞ্চে অনেক ভিড়, তারপরও যেতে হবে। গত কয়েকদিনের তুলনায় রোববার ও সোমবার ঘাটে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি ছিল। ফলে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে চলছে এসব লঞ্চ। জানা গেছে, জেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরে কাজের প্রয়োজনে বসবাস করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। ঈদ উদযাপন শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছেন। এতে লঞ্চঘাট গুলো চাপ বাড়ছে। এ ব্যাপারে ভোলা নদীবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো লঞ্চ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে না পানে সেদিকে বিআইডব্লিটিএ নজরদারি রয়েছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ভোলা-ঢাকা ও ভোলা লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন ২১টি লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল করে। এছাড়াও সাত উপজেলা থেকে চলছে আরও ৪০টি লঞ্চ।