পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলার সব মৎস্য আড়তে কমেছে ইলিশের সরবরাহ। তাই দামও একটু চড়া। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গভীর সাগর থেকে মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলার সব মৎস্য আড়তে কমেছে ইলিশের সরবরাহ। তাই দামও একটু চড়া। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গভীর সাগর থেকে মাছধরা ট্রলার ঘাটে ফিরলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর থেকে যে সকল ট্রলার আড়তে এসেছিলো সেগুলো ফের গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেছে। তাই মহিপুর, আলীপুর, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপাসহ জেলার সকল মৎস্য আড়ত ঘাটে ইলিশের দাম অনেকটা চড়া। ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১‘শ টাকা কেজি দরে। ৭ থেকে ৮‘শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮‘শ টাকা কেজি দরে। ৫ থেকে ৬‘শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬‘শ টাকা কেজি দরে। আর জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা মৎস্য বন্দরগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
মহিপুরের মৎস্য আড়ৎ কক্সবাজার ফিসের ম্যানেজার ফরিদ মিয়া জানান, মহিপুরের বেশির ভাগ ট্রলার এখন গভীর সাগরে মাছ শিকার করছে। ঘাটে তেমন মাছ নেই বললেই চলে। দামও আগের তুলনায় অনেক বেশি।
আলীপুরের মৎস্য আড়ৎ সাত ভাই ফিসের মালিক রাসেল মোল্লা বলেন, এখন মনে হচ্ছে ইলিশের গায়ে আগুন লাগছে। দাম এতটা বেশি যে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বর্তমানে মাছ চালান করলে লোকসান ছাড়া কিছুই হবে না।
মহিপুর আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, মহিপুরে মাছের সরবরাহ নেই বললেই চলে। গতকাল যে সকল ট্রলার ঘাটে ফিরেছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কম সংখ্যক মাছ নিয়ে ফিরেছে। তবে সামনে দুই তিন দিন পর গভীর সাগর থেকে সকল ট্রলার ঘাটে ফিরলে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে। আমাদের বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ নিয়ে। লো ভোল্টেজ এবং ঘন ঘন লোডশেডিং। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বরফ সংকটে পড়বো। অনেক লোকসান গুনতে হবে।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সাগরে জেলেদের জালে কাঙ্খিত মাছ ধরার পড়ার আশা করছি। কারণ এখানকার বেশির ভাগ জেলে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ মেনে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল।