উপাদান নেই ফরেনসিক রিপোর্টে তারপরেও
কন্ঠরোধ ও সাজা দেয়ার জন্যই সাংবাদিক নোমানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বানোয়াট চার্জশীট
|
স্টাফ রিপোর্টার : মামুনুর রশীদ নোমানী। একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করাই তার কর্ম। দুর্নীতি,অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন অসংখ্য। বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলীয় বিভাগীয় শহর বরিশাল। এখানেই সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন নোমানী ।সাংবাদিক নির্যাতন,নিপিড়ন যেখানেই তিনি নির্যাতক ও নিপিড়কদের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাশীন দলের শীর্ষ নেতারা হামলা করে ।গুরুতর আহতবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত কালো আইন ” ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কুখ্যাত ধারা ২৬ (২) ও ৩৩ (২) ধারার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দেয়া হয় ।ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল পুলিশের হাতে দিয়ে জব্দ দেখানো হয় । পুলিশ যাচাই না করেই ক্ষমতাশীনদের কথায় গেপ্তার দেখায়। পুলিশ আদালতের বিচারকের সামনে হাজির না করেই কারাগারে পাঠিয়ে দেয় । ১৭ দিন কারাগারে থাকার পরে জামিনে মুক্ত হোন সাংবাদিক নোমানী। গ্রেপ্তারের পরেই দেশ ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। জাতিসংঘের বিশেষ রিপোটিয়ারগন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিসনে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্থাপন করে। এছাড়া এশিয়ান মানবাধিকার কমিশন,সিপেজে,আর্টিকেল ১৯,অধিকার,মানবাধিকার সমিতি,বিওজে,প্রেস ইউনিটি,এসএসপি,বনপাসহ গনমাধ্যম সংগঠন ও সংস্থাগুলো নিন্দা জানায়। নোমানীর মুক্তির দাবীতে বিবৃতি প্রদান ও মানববন্ধন করে সংগঠনগুলো। মামলার পরে ৭৫ দিনের পরিবর্তে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ১ (এক) বছর ১১ (এগারো) মাস ১৭ (সতের) দিন পর আদালতে তদন্ত রিপোর্টটি মামলার হুবহু কপি মাত্র। বাদী প্রতিপক্ষের আনীত অভিযোগ এর সত্যতা সম্পর্কে ফরেনসিক প্রতিবেদনে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সাংবাদিক নোমানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬ (২) /৩৩ (২) ধারার কোন উপাদান বিদ্যমান নাই।জেনে শুনে বুঝে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছেন। সাংবাদিক নোমানী সম্পুর্ন নির্দোষ,নিরাপরাধ। শুধুমাত্র হয়রানী, আর্থিক ক্ষতি সাধন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই হয়রানীর জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ফৌজধারী কার্যবিধি আইনের ২৬৫ (সি ) ধারা মোতাবেক মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছেন তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনালে। সাংবাদিক নোমানীর আশংকা ফরেনসিক প্রতিবেদনে অভিযোগ এর সত্যতা সম্পর্কে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি তারপরেও মিথ্যা ও বানোয়াট তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয়েছে কারাদন্ড দেয়ার জন্য। তবে তার এ আশংকা অমুলক নয়। সাংবাদিক নোমানী পক্ষের আইনজীবীরাও শংকা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক নোমানীকে নিয়ে সিপিজে ২০২২ সালে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিল। সেখানে বিস্তারিত সংবাদ দেয়া হয়।ফরেনসিক রিপোর্টে ডিজিটালের কোন আলামত পায়নি ।তারপরেও একটা মিথ্যা ও বানোয়াট তন্দ রিপোর্ট (চার্জশীট) প্রদান করা দুঃখজনক। এছাড়াও এশিয়ান মানবাধিকার কমিশন,অধিকার,সিজিএ তাদের রিপোর্টে সাংবাদিক নোমানীর ওপর নির্যাতন ও বিতর্কিত আইনের মামলার বিষয় প্রকাশ পায়। মামলার এজাহার আর চার্জশীট কপি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবীরা। হুবহু একই। যেটি এজাহার কপি সেটিই চার্জশীট কপি। তিনি বলেন ফরেনসিক রিপোর্ট সম্পর্কে অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন, ফরেনসিক ফটোগ্রাফিক স্পেশালিস্ট, ফটোগ্রাফিক ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি, এ ব্যাপারে মামলার দুই নম্বর বিবাদী কামরুল ইসলাম বলেন, বাদী ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর। কথিত ভিকটিম ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় হওয়ার উল্লেখ্য,২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি ধারণ করার কথিত অভিযোগে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বরিশাল খবর’–এর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী, যুবলীগ নেতা কামরুল মৃধা ও গাড়ির ড্রাইভার লাবু গাজীকে পুলিশ আটক করে। আটকের পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করা হলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সূত্র : https://www.fidh.org/IMG/pdf/annual-hr-report-2020 https://cgs-bd.com/cms/media/documents/e8fc8744-a09b-4676-b9d8-192db92b963b.pdf http://www.humanrights.asia/wp-content/uploads/2021/07/Neglect-and-Loss-07
https://www.prothomalo.com/opinion/column/hqo1ze2i78
https://thedailynewnation.com/news/263155/Online-editor,-two-associates-sent-to-jail |