উজিরপুর সংবাদদাতা: বরিশালের উজিরপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদারের উপর হামলার ঘটনার কয়েকঘন্টার মাথায় তিনজনকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পলাশ, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম কাজী ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জসিম উদ্দিন রুবেলকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারি সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখ জনক। তদন্ত করে প্রত্যেক দোষীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এরআগে রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে মারধর ও লাঞ্চনার শিকার হন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদার (৪৫)।
ইদ্রিস সরদার জানান, হামলার ঘটনার আগ মুহুর্তে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষের সামনে বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমকে সালাম দিয়ে কুশল-বিনিময় করতে যান তিনি। তখন উজিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল তাকে দেখে কটুক্তি করে। এর প্রতিবাদ করলে দুই জনের মধ্যে তর্ক হয়।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে ইকবাল এমপির সামনে আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় ইকবালের ক্যাডার কাজী রিয়াজ (সৈয়দ রিয়াজুল ইসলাম কাজী) , পলাশ তালুকদার (আতিকুর রহমান পলাশ) ও রুবেল (জসিম উদ্দিন রুবেল) সহ ৭/৮ জন এলোপাতারিভাবে কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে রক্তাক্ত আহত করেছে। পরে অন্যান্য নেতারা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে। এ ঘটনায় জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আর এই ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমপির সামনে এই আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। আর এরপরপরই নরেচরে বসে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।