ইভটিজিং করার প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধন সংঘর্ষে পন্ড
প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২২, ৮:৪০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করার মানববন্ধন বহিরাগতদের সংঘর্ষে ঘটনায় পন্ড হয়ে গেছে।
সকাল দশটায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে মানববন্ধন নিয়ে অভিযুক্ত পরিবার ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা তর্কে জড়িয়ে পড়লে পরবর্তীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাকিবিল্লাহ ওরফে মিতু ফরাজী ও সাহস ঘরামী, সুলতান ঘরামীরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ইমরান হোসেন স্বপন কে মারধর শুরু করলে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং স্কুলের অফিস কক্ষের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে।
এসময় শিক্ষক মন্ডলী সহ সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বহিরাগতদের হামলায় ৫/৬ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও প্রধান শিক্ষক ধীমান চন্দ্র রায়ের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের পরে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় মিছিল বের করলে পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকলে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নশা দ্রুত বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও ছাত্রীদের ইভটিজিং করার বিষয়টি বিচার করার আস্থা দিলে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা তারা তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আদাবাদিয়া ডাকঘর অফিসের পিয়ন মোঃ আফাজ উদ্দিন তার সরকারি অফিস ব্যবহার না করে বিদ্যালয়ের পাশে থাকা বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ডাকঘর ব্যবহার করছেন। এসময় তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বসে অর্ধনগ্ন হয়ে ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে ইভটিজিং করতে থাকে বিষয়টি তারা লিখিত আকারে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ডাকে আজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। ছাত্র-ছাত্রী আরো বলেন মানববন্ধন জাতে হতে না পারে এই কারণেই অভিযুক্তের লোকজন এসে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে হামলা চালায়। ছাত্র-ছাত্রীরা আরও বলেন এই আফাজ উদ্দিন প্রায় এরকমের ইভটিজিং করে আসছে। আমরা এই আফাজ উদ্দিনের দৃষ্টান্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আফাজ উদ্দিন বলেন গত বৃহস্পতিবার আমি দুপুরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে রোদে হাঁপিয়ে পড়ি। এ সময় আমার বাড়িতে গাছের ছায়ায় বসে লুঙ্গি দিয়ে ঘাম মুছতে ছিলাম। এসময় আমার অন্ডকোষে শীতলভাব অনুভব করলে জোঁকে ধরছে কিনা ভেবে পরীক্ষা করতে গেলে এ সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা হাসাহাসি করলে আমি আরো লজ্জিত হয়ে আড়ালে যাই। আমার সংঙ্গে স্বপন মেম্বারের নির্বাচন কালীন দ্বন্দ্ব আছে তার কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে এবং সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে মানববন্ধনের ইন্ধন যোগাচ্ছে।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে হামলার বিষয়ে কেওড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান নশা বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে আমি তার নিন্দা জানাই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সকল অভিযোগ সহ এই হামলার ঘটনার ব্যপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।