আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসে বরিশালে ল্যাবেই সন্তান প্রসব
প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২২, ১১:৩০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে গিয়ে ডায়াগনস্টিক ল্যাবের দরজায় ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক বাক প্রতিবন্ধী নারী। রোববার (২১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোডস্থ লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক ল্যাবে এ সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক ও তার মা উভয়ই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ওই ল্যাবের মালিক প্রদীপ কুমার পাল। সন্তান প্রসব করা ওই নারী বরিশাল নগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর কলোনির বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রি নুরে আলমের স্ত্রী ময়না বেগম (২৯)। প্রসূতির স্বামী নুরে আলম জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ হলিংবেরি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা জানান স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করতে হবে। এজন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হবে। তাই তাকে অটোতে করে লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক ল্যাবে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানেই স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী। মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে জানিয়ে নুরে আলম বলেন, সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া ছেলে তাদের তিন নম্বর সন্তান। তাদের দুটি কন্যাও আছে । প্রসূতির বোন সোনিয়া জানান, তার বোন বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় চিকিৎসককে ঠিকভাবে সবকিছু বোঝাতে পারেননি।
চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী সন্তান প্রসবের দিন ছিল আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বোন অসুস্থ হয়ে পড়ায় রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে বললে ল্যাবে আসি। আর এখানে এসেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। ল্যাবের ম্যানেজার মো. আল আমিন জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে এসে দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পরপরই অন্তঃসত্ত্বা নারী বসে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা নারী বলে ওঠেন সন্তান প্রসবের সময় হয়ে গেছে। পরে ছেলে সন্তান জন্ম দেয় ওই নারী। ওইসময় ল্যাবে সদর হাসপাতাল থেকে একজন নার্স এনে তাৎক্ষণিক ওই নারীকে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে সন্তানসহ প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ল্যাবের ওই কর্মকর্তা। ল্যাবে নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করতে পেরে ল্যাবের মালিক প্রদীপ কুমার পাল স্টাফদের ধন্যবাদ জানান। সেসঙ্গে তার ল্যাবে জন্ম নেওয়ায় নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের পরীক্ষা আজীবন ফ্রি ঘোষণা ও নবজাতককে উপহার হিসেবে নগদ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। এদিকে বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দুলালী সমদ্দার জানান, প্রসব বেদনা উঠলে এক স্বজন এসে হাসপাতাল থেকে একজন নার্স নিয়ে যায়। ওই নার্সের সহায়তায় শিশু জন্ম নেয়। তারপর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশু ও প্রসুতি উভয়ে সুস্থ আছে।