তবে এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর। শুক্রবার অর্থাত্ আজ থেকেই আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা শুরু হবে। এর জন্য তালেবান নেতৃত্ব সম্মতি দিয়েছে। আফগান সরকারি বিমান সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার তামিম আহমদিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে। আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সকে আফগানিস্তানের ঐতিহ্যপূর্ণ এবং দেশের প্রাচীনতম বিমান সংস্থা বলা হয়। জানা গিয়েছে, দেশ ছাড়ার আগেই আফগান বায়ুসেনার ৭৩টি বিমান অকেজো করে দেয় মার্কিন ফৌজ। কাবুল বিমাবন্দর দখল করলেও তা পরিচালনা করার মতো দক্ষতা নেই তালেবানের। বিশেষ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে শুরু করে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নেই। আর বিমানবন্দরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কাবুল বিমানবন্দরকে ফের কার্যক্ষম করে তুলতে কাতার থেকে বিশেষজ্ঞ দল আফগানিস্তানে এসেছে। গত সোমবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে পৌঁছেছেন কাতারের বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কাবুল বিমানবন্দরের অবস্থা শোচনীয় হলেও মাজার-ই-শরিফ ও কান্দাহার বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা বহাল করা যেতেই পারে। তালেবান দখলের অব্যবহিত পরে, কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, দেশগুলি তাদের নাগরিকদের এবং তাদের সাথে কাজ করা আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, যখন স্থানীয়রা শত শত সংখ্যায় বিমানবন্দরে জড়ো হয়, দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য মরিয়া।