কুরআন-সুন্নাহর সঠিক অনুসরণ করলে কেহ জঙ্গী বা সন্ত্রাসে হয় না : গণপূর্ত মন্ত্রী রেজাউল করিম
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নেছারাবাদ (পিরোজপু), প্রতিনিধিঃ
ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৯ তম মাহফিলে গতকাল ১ম দিনে বাদ জুমা বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেন- আমরা দলীয় রাজনীতি করিনা। কিন্তু দলীয় রাজনীতির উর্দ্ধে থেকে ইসলামের যে কান খেদমত করি। যা আমাদের পূর্বপুরুষগণ আল্লামা শাহ্সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ) ও মুজাদ্দিদে যামান শাহ্সূফী আবু জাফর ছালেহ (রহঃ) করে গেছেন। তারা ইসলামের ক্ষেত্রে কোনদিন পিছপা হননি। এদেশের শতকরা ৯৫% লোক মুসলমান অথচ এদেশে যখন তখন একদল বিধর্মীরা ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি করা হয় তাই তিনি বর্তমান সরকারের কাছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুইটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর পক্ষে দুইটি দাবী জানান- (এক) কেহ যাতে কোন ধর্মের প্রতি আঘাত হানতে না পারে সেজন্যে বøাসফেমী আইন যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে আইন পাশ করা। (দুই) বাংলাদেশে প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়ে একসাথে লেখাপড়া করার কারণে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীলতা লক্ষ্য করা যায় এজন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে পৃথক করার আহŸান জানান।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম (এমপি) মাহফিলে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন- বর্তমান সরকার আলেম ওলামাদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আলেম ওলামাদেরকে সরকারী খরচে পবিত্র হজ্ব করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন- দেশের এক পঞ্চমাংশ মানুষ মাদ্রাসা থেকে পাশ করে প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চ স্তরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন মাষ্টার্স এর সমমান মান দিয়ে। যার ফলে এখন মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ছাত্ররা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ডিসি, এসপি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান সরকার দেশে ৫৬০ টি পাঁচতলা বিশিষ্ট মাদ্রাসা তৈরির কাজ শুরু করেছেন এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরী করতেছেন। মন্ত্রী মহোদয় ছারছীনার বড় শাহ্ সাহেব হুজুরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন কুরআন-হাদীসের পরিপন্থী কোন আইন পাশ করবেন না। আমি সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌছিয়ে দিবো। তিনি মাহফিলে আগত মুসল্লিদেরকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন- কোন মানুষ যদি পরিপূর্ণ কুরআন-সুন্নাহর সঠিক অনুসরণ করে তাহলে কেহ জঙ্গী বা সন্ত্রাসে পরিণত হতে পারে না। কেহ মাদক কারবারী, দখলবাজী, চরিত্রহীন হতে পারে না।
পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ করেন।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান,নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দল্লাহ আল মামুন, স্বরূপকাঠীর পৌরসভার মেয়র মোঃ গোলাম কবির, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ নিজাম উদ্দিন প্রমূখ।