
বরিশাল খবর অনলাইন নিউজ : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ইমরুল কায়েস (৩৪)। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সামাজিক চাপে ওই গৃহবধূর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী বসুনিয়াটারী গ্রামে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এলাকাবাসী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কাজীর উপস্থিতিতে কনস্টেবল ইমরুল কায়েস এবং ওই গৃহবধূর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এর আগে, ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আপত্তিকর অবস্থায় ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটক করেন স্থানীয় জনতারা।
পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল কায়েস গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ি গোবিন্দপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত আছেন। তার বিপি নং ৯০১১১৩৭৮২২।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই পুলিশ সদস্যের প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এ নিয়ে একাধিক বার ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেছেন এবং এ নিয়ে সবার সাথে খারাপ আচরণও করেছেন। এমনকি নিজের শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন এবং মারধর করেন। প্রবাসীর স্ত্রীর জানান ওই পুলিশ কনস্টেবল তার নাকি আত্নীয় হন । পুলিশ কনস্টেবলের অবাধে এ যাতায়াতকে নেনে নিতে পারেননি এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়রা পাহারা দিয়ে তাকে ওই গৃহবধূর ঘর থেকে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতার চাপে তালাক ও বিয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তাদের উভয়ের সংসারে সন্তান আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ সুমন মিয়া (৩২) জানান, পুলিশ সদস্য গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মেয়ের শয়ন ঘরে ঢোকে। সাড়ে ১০ টার মধ্যে খাওয়ার দাওয়া শেষ করেন। রাত ১১টার দিকে খারাপ কাজ শুরু করেন। আমারা তাদের ডাক দেই অতঃপর ঘরে ঢুকে দেখি কনস্টেবল ইমরুল ড্রেসিং টেবিলের পাশে লুকিয়ে আছে। এরপর আমরা দুজনকেই আটক করে বেঁধে রাখি।
দহবন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আতোয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি লোকজন জড়ো হয়ে আছে। দরজা খুললে দেখি পুলিশ সদস্য লুকিয়ে আছেন ড্রেসিং টেবিলের কাছে। এ সময় ছেলের শরীরে স্যান্ডো গেঞ্জি ছিলো।”
এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় কাজী মোঃ হামিদুল ইসলাম সাথে তিনি বলেন, “ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি বহুলোক। পরে প্রবাসীর স্ত্রীর তালাকনামা করা হয়। পরে নতুন করে পুলিশ কনস্টেবলের সাথে প্রবাসীর ওই স্ত্রীর বিয়ে দিতে চাইলে আমি অস্বীকার যাই। জনতার চাপে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে নতুন করে কাবিননামা সম্পন্ন হয়।”
মধ্যস্থতাকারীর একজন শামসুজ্জামান প্রামানিক তনু তিনি বলেন, উভয়পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রবাসীকে তালাক দেয় তার স্ত্রী। পরে আটক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে প্রবাসীর স্ত্রীর বিয়ে দেয়া হয়। এরপর কনস্টেবল তার নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, “বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ ও করেনি।”
সম্পাদক ও সিইও: মামুনুর রশীদ নোমানী
বরিশাল খবর অফিস: সিএন্ডবি রোড, বরিশাল
ইমেইল: nomanibsl@gmail.com
মোবাইল: 01713799669 / 01712596354
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি
© বরিশাল খবর সর্বস্ব সংরক্ষিত