বিপণন কর্মকর্তা নেন রক্তের নমুনা, দেড় মাস বড় আপুদের দেখে হয়ে গেছেন নার্স, ওষুধ আর খাবার রাখা হচ্ছে একই ফ্রিজে। এভাবেই চলছে অধিকাংশ বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অনুমোদনহীন এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে যেয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় আবারও অভিযানের পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হাসপতালে রোগী এসেছে-এমন খবরে বাসা থেকে দৌড়ে আসেন বিপণন কর্মকর্তা। রক্তের নমুনাও নেন তিনি। এভাবেই চলছে কালিয়াকৈরের ডিজিটাল ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি।
তিনি বলেন, আমি অন্য কারও রক্ত নেব না। নিজের লোক বলে আমি নিয়েছি।
দেড় মাস বড় আপুদের কাজ দেখে নার্স হয়েছেন শনির আখড়ার এভারগ্রিন হাসপাতালের এই কিশোরী। রোগীদের ইনজেকশন দেওয়াসহ চিকিৎসা সহায়তা দেন তিনি।
ওই কিশোরী বলেন, আমি এ বছর জেএসসি দিয়েছি। ফাইল দেখা, রোগীর ওষুধ দেওয়া এবং রোগীর কোনো অসুবিধা আছে কি না, তা জানা। আমার দেড় মাস হয়েছে। আপুরা আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে।
টাঙ্গাইল সদরে সততা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের ল্যাবে রাখা হয় শিশুদের। একই ফ্রিজে মাছ-মসলার সঙ্গে জায়গা হয়েছে ওষুধের। অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
জেলার আল নুর ও গ্রিন হাসপাতালেরও একই চিত্র।
অবৈধ, মানহীন এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন বলেন, অনেকে আড়ালে-আবডালে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। যেহেতু আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি অভিযান চালাব। যদি কোনো অবৈধ প্রতিষ্ঠান থাকে, আবার কীভাবে অভিযান চালানো যায়-বিষয়টি আমরা দেখব।
চিকিৎসা খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ সাধারণ মানুষের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: nomanibsl@gmail.com মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com