নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
মোসাম্মৎ সালমা বেগম পেশায় একজন শিক্ষিকা। ২০১০ সালে বিদেশ ভ্রমণের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সে সময় তদন্তের নামে পুলিশকে টাকা প্রদান, দীর্ঘ সময় ক্ষেপন, দপ্তরে দপ্তরে ধরনা ধরেও সময়মতো ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাননি। ফলে সেবার আর যাওয়া হয়নি সাধের কানাডা। কিন্তু ২০২২ সালে এসে আবেদনের মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়ে বিস্মিত সালমা বেগম। মোসাম্মৎ সালমা বেগম বলেন, এখানকার পুলিশ কর্মকর্তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে। এমনটা হতে পারে তা কল্পনায়ও ছিল না। সালমা বেগমের কল্পনাকে হার মানিয়ে যুগান্তকারী পুলিশিং সেবা দিতে শুরু করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। কমিশনার সাইফুল ইসলামের চেষ্টায় শুরু হওয়া ওয়ান স্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিসের প্রথম দিনের (০৫ আগস্ট) সেবাগ্রহীতা তিনি। একই দিন আরও দুইজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন বিএমপি কমিশনার। দেওয়া হবে আরও ৩০ জনকে। এর মধ্যে ছেলের জন্য সার্টিফিকেট নিতে এসেছেন বাংলাবাজারের বাসিন্দা মানছুরা হক। তিনি বলেন, ২০২১ সালেও আমি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়েছিলাম। তখন অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। সরকার নির্ধারিত টাকার কয়েকগুণ বেশি খরচ করে কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। এবারের পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ আলাদা এবং সুন্দর। এত অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, এটি স্বপ্নের মতো ছিল আমার কাছে। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও যেন চালু থাকে এই কামনা করি। পূর্ব রহমতপুরের বাসিন্দা সাইফুল খান যাবেন সৌদি আরব। মাত্র তিন দিনে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়ে বলেন, পুলিশের প্রতি আমার এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। মাত্র পাঁচশ টাকায় পুরো কাজ শেষ হয়েছে। অথচ এর আগে আমাদের থানায় যেতে হতো। পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ধরনা দিতে হতো। পুলিশ কমিশনারের এই উদ্যোগ বিদেশগামীদের জন্য এক কথায় অনবদ্য।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com