ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা মনে করেন, কোনো সংবাদ ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ গ্রহণ না করে যেভাবে এই আইনের অধীনে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে, তা দেশের সাংবাদিকতার স্বাধীন ধারাকে রুদ্ধ করার অসৎ উদ্দেশ্য থেকেই করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা উল্লেখ করেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা অবিলম্বে মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, শামসুজ্জামানের কারামুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী, হোসেন জিল্লুর রহমান, হামিদা হোসেন, খুশী কবির, শাহীন আনাম, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, শামসুল হুদা, শিরিন হক, পারভীন হাসান, শাহদীন মালিক, জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সারা হোসেন, সুমাইয়া খায়ের, শাহনাজ হুদা, আসিফ নজরুল, রোবায়েত ফেরদৌস, নূর খান লিটন, শহিদুল আলম, রেহনুমা আহমেদ, অরূপ রাহী ও সায়দিয়া গুলরুখ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এসব ঘটনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতা দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের আরও একটি উদ্বেগজনক নজির সৃষ্টি করেছে।
নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে দেশের সংবাদমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপ করার ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলো ভীতি সৃষ্টির অপপ্রয়াস।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে তাঁর বাসভবন থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজ ও সমাজের বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদকে আমলে না নিয়ে উল্টো ২৯ মার্চ মধ্যরাতে একই সংবাদকে কেন্দ্র করে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায়ও শামসুজ্জামানকে আসামি করা হয়।
বিশিষ্টজনেরা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ২২ মার্চ নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব আটক করে। পরে র্যাব হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হলে দেশব্যাপী তীব্র প্রতিবাদ হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ থামছে না, যা সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com