দশমিনা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা বরকত উজ্জামানের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নাম ঠিক রেখে পুলিশ কর্তার ছবি, তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও অন্তর্ভুক্ত, টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় স্থানীয় ইউএনও ও জেলা প্রশাসক বরাবরে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টুসহ পৃথক ৭ জনের বেশি ব্যক্তি আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত উদ্যোক্তা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের দিকে ১ হাজার ৮২৩ জনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের সুফলভোগী ভোক্তা নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. বরকত উজ্জামান দায়িত্বে অসংগতি করে নতুন নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত, তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও ইচ্ছামতো নিবন্ধনে ছবি ব্যবহার করেন। তিনি হানিফ মিয়া নামে এক ভোক্তার নামের পাশে দশমিনা থানার এএসআই মো. মাহবুবের ছবি দিয়ে নিবন্ধন করেন। এছাড়াও ভুয়া নাম-ঠিকানা, ছবি ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করে ডিলারদের সহযোগিতায় চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়। যাদের নামে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে তারা জানেন না বলে অভিযোগে বলা হয়।
দশমিনা থানার এএসআই মো. মাহবুব বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নামে আমার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে এমন বিষয় আমার জানা নেই।
অভিযোগের বিষয় মো. বরকত উজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু আমাকে পছন্দ করেন না, তাই আমাকে বাদ দিতে চায়। তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে নেওয়ার জন্য তার নিজস্ব লোকও ঠিক করে রেখেছেন। আমাকে বাদ দিয়ে তাকে নেবেন। তাছাড়া আমি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুলের আত্মীয়। বাদ দেওয়ার এটাও একটা কারণ।
তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আনা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।
যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল। ইমেইল: [email protected] মোবাইল: 01713799669
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2008-2023 BarisalKhabar24.com